fbpx

১৬ হাসপাতালে বাক্সবন্দি রোগনির্ণয় যন্ত্র, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে থাকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গতকাল রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ এই আদেশ দেন।

দীর্ঘদিন ধরে ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে থাকায় বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট ১৬ হাসপাতালের পরিচালকসহ ২১ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৪ আগস্ট একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘১৬ হাসপাতালে ২৮টি যন্ত্র বাক্সবন্দি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে ২৬ আগস্ট ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটকারী আইনজীবী নিজেই আদালতে রিটের শুনানি করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ছিলেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও ভেন্টিলেটর যন্ত্র। পড়ে থেকে কোনো যন্ত্র নষ্টও হয়ে গেছে। কোনটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। অধিকাংশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই জানিয়েছে, যন্ত্র অব্যবহৃত থাকার প্রধান কারণ, সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব। কোথাও কোথাও কারিগরি সহায়তার অভাবে যন্ত্র বসানো সম্ভব হয়নি।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাক্সবন্দি যন্ত্রগুলোর মধ্যে পাওয়া গেছে ১৩টি এক্স-রে, ছয়টি ভেন্টিলেটর, চারটি আলট্রাসনোগ্রাম, একটি ইসিজি, একটি ল্যাপরোস্কপি, একটি কালচার ইনকিউবেটর, একটি হট এয়ার ওভেন ও একটি অটোক্লেভ মেশিন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply