স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আবদুল মালেককে অস্ত্র মামলায় দু’টি ধারায় ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক রবিউল আলম এ আদেশ দেন।
রায়ের সময়ে আদালতে হাজির ছিলেন আসামি মালেক। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় আদালতে আজ ৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে সবার সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সালাউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আবদুল মালেক ওরফে বাদল সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তিনি এই আদালতে ন্যায়বিচার পাননি।
এর আগে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, জাল টাকাসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন মালেক। তখন তার বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। অস্ত্র মামলায় মালেকের বিরুদ্ধে গত জানুয়ারিতে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ১১ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন।
মালেককে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানিয়েছে, মালেকের দু’জন স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রী নার্গিস আক্তারের নামে তুরাগ এলাকার দক্ষিণ বামনারপাড়া রমজান মার্কেটের উত্তর পাশে ছয় কাঠা জায়গার ওপর সাততলার দু’টি আবাসিক ভবন রয়েছে। এতে ফ্ল্যাট আছে মোট ২৪টি। আর ওই ভবনের সামনে আছে ১০ থেকে ১২ কাঠার আরেকটি প্লট। ভবনের তৃতীয় তলায় মালেক সপরিবারে থাকেন। বাকি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া। এছাড়া, তার বড় মেয়ের নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জায়গার ওপর ইমন ডেইরি ফার্ম নামের গরুর খামার রয়েছে। এর বাইরেও হাতিরপুলে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সাড়ে চার কাঠা জায়গার ওপর ১০তলা ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে।