fbpx

বাজেটের হাফ সেঞ্চুরি, ৭৮৬ কোটি থেকে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঘোষিত হলো বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ঘাটতির বাজেট। মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে সবচেয়ে বড় নতুন এ বাজেট আকারের দিক থেকেও প্রথমবারের মতো ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার সম্ভাব্য বাজেট ঘোষণা করেছেন। যা স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের আকারের চেয়ে ৭৬৭ দশমিক ৯৬ গুণ বড়।

১৯৭১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ার সাথে সাথে খুব স্বাভাবিকভাবেই ৫০তম বাজেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন প্রথম বাংলাদেশের বাজেট উপস্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। বিদেশি অনুদান ও ঋণ নির্ভর সে বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকার। সেদিন একইসাথে তিনি ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ সালের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০তম বাজেটের মধ্যে বাজেট উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়েছেন ১১ জন অর্থমন্ত্রী এবং দুই উপদেষ্টা। আর এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার এই সুযোগ পেয়েছেন, সাইফুর রহমান ও আবুল মাল আবদুল মুহিত। তারা দু’জনই ১২টি করে বাজেট উপস্থাপন করেন।

স্বাধীনতার পর এক নজরে ৫০টি বাজেটের আকার ও বাজেট পেশকারীর নাম :

১। ১৯৭২-৭৩, তাজউদ্দীন আহমদ, ৭৮৬ কোটি টাকা।

২। ১৯৭৩-৭৪, তাজউদ্দীন আহমদ, ৯৯৫ কোটি টাকা।

৩। ১৯৭৪-৭৫, তাজউদ্দীন আহমদ, ১০৮৪.৩৭ কোটি টাকা।

৪। ১৯৭৫-৭৬, ড. আজিজুর রহমান, ১৫৪৯.১৯ কোটি টাকা।

৫। ১৯৭৬-৭৭, জিয়াউর রহমান, ১৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা।

৬। ১৯৭৭-৭৮, লে. জিয়াউর রহমান, ২১৮৪ কোটি টাকা।

৭। ১৯৭৮-৭৯, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, ২৪৯৯ কোটি টাকা।

৮। ১৯৭৯-৮০, ড. এম এন হুদা, ৩৩১৭ কোটি টাকা।

৯। ১৯৮০-৮১, এম সাইফুর রহমান, ৪১০৮ কোটি টাকা।

১০। ১৯৮১-৮২, এম সাইফুর রহমান, ৪৬৭৭ কোটি টাকা।

১১। ১৯৮২-৮৩, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ৪,৭৩৮ কোটি টাকা।

১২। ১৯৮৩-৮৪, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ৫,৮৯৬ কোটি টাকা।

১৩। ১৯৮৪-৮৫, এম সাইদুজ্জামান, ৬,৬৯৯ কোটি টাকা।

১৪। ১৯৮৫-৮৬, এম সাইদুজ্জামান, ৭,১৩৮ কোটি টাকা।

১৫। ১৯৮৬-৮৭, এম সাইদুজ্জামান, ৮,৫০৪ কোটি টাকা।

১৬। ১৯৮৭-৮৮, এম সাইদুজ্জামান, ৮,৫২৭ কোটি টাকা।

১৭। ১৯৮৮-৮৯, মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম, ১০,৫৬৫ কোটি টাকা।

১৮। ১৯৮৯-৯০, ড. ওয়াহিদুল হক, ১২,৭০৩ কোটি টাকা।

১৯। ১৯৯০-৯১, মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম, ১২,৯৬০ কোটি টাকা।

২০। ১৯৯১-৯২, এম সাইফুর রহমান, ১৫,৫৮৪ কোটি টাকা।

২১। ১৯৯২-৯৩, এম সাইফুর রহমান, ১৭,৬০৭ কোটি টাকা।

২২। ১৯৯৩-৯৪, এম সাইফুর রহমান, ১৯,০৫০ কোটি টাকা

২৩। ১৯৯৪-৯৫, এম সাইফুর রহমান, ২০,৯৪৮ কোটি টাকা।

২৪। ১৯৯৫-৯৬, এম সাইফুর রহমান, ২৩,১৭০ কোটি টাকা।

২৫। ১৯৯৬-৯৭, এস এ এম এস কিবরিয়া, ২৪,৬০৩ কোটি টাকা।

২৬। ১৯৯৭-৯৮, এস এ এম এস কিবরিয়া, ২৭,৭৮৬ কোটি টাকা।

২৭। ১৯৯৮-৯৯, এস এ এম এস কিবরিয়া, ২৯,৫৩৭ কোটি টাকা।

২৮। ১৯৯৯-০০, এস এ এম এস কিবরিয়া, ৩৪,২৫২ কোটি টাকা।

২৯। ২০০০-২০০১, এস এ এম এস কিবরিয়া, ৩৮,৫২৪ কোটি টাকা।

৩০। ২০০১-২০০২, এস এ এম এস কিবরিয়া, ৪২,৩০৬ কোটি টাকা।

৩১। ২০০২-২০০৩, এম সাইফুর রহমান, ৪৪,৮৫৪ কোটি টাকা।

৩২। ২০০৩-২০০৪, এম সাইফুর রহমান, ৫১,৯৮০ কোটি টাকা।

৩৩। ২০০৪-২০০৫, এম সাইফুর রহমান, ৫৭,২৪৮ কোটি টাকা।

৩৪। ২০০৫-২০০৬, এম সাইফুর রহমান, ৬১,০৫৮ কোটি টাকা।

৩৫। ২০০৬-২০০৭, এম সাইফুর রহমান, ৬৯,৭৪০ কোটি টাকা।

৩৬। ২০০৭-২০০৮, এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, ৯৯,৯৬২ কোটি টাকা (অর্থ উপদেষ্টা)।

৩৭। ২০০৮-২০০৯, এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, ৯৯,৯৬২ কোটি টাকা (অর্থ উপদেষ্টা)।

৩৮। ২০০৯-২০১০, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।

৩৯। ২০১০-২০১১, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।

৪০। ২০১১-২০১২, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

৪১। ২০১২-২০১৩, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।

৪২। ২০১৩-২০১৪, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা।

৪৩। ২০১৪-২০১৫, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।

৪৪। ২০১৫-২০১৬, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

৪৫। ২০১৬-২০১৭, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।

৪৬। ২০১৭-২০১৮, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ৪ লাখ ২৭০ কোটি টাকা।

৪৭। ২০১৮-২০১৯, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

৪৮। ২০১৯–২০২০, আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

৪৯। ২০২০-২০২১, আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

৫০। সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হলো, ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। নিজের ধারাবাহিক এই তৃতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।

Advertisement
Share.

Leave A Reply