বাংলা আশ্বিন মাসের শেষের দিকে হলেও প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ দেশবাসী। আর এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছে জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষগুলো। কারণ, না দিনে, না রাতে, এমনকি ঘরের ভেতরেও কোনো বেলাতেই গরমে স্বস্তি নেই একটুও।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী দু’একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে।
স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা গত কয়েকদিনে বেড়েছে কয়েক গুণ। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণ কী, সে বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সাধারণত অক্টোবর মাসে কোনো কোনো বছর তাপমাত্রা বেশি থাকে। কারণ, এ সময় বৃষ্টিপাত অনেকটাই কমে যায়। এবার দেশ থেকে যখন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিচ্ছে, ঠিক সেই সময়ই বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প সমৃদ্ধ বাতাস স্থলভাগের দিকে এসেছে। যে কারণে ভাদ্র মাসের মতো ভ্যাপসা গরম লাগছে। এ অবস্থায় যতক্ষণ পর্যন্ত বৃষ্টি না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত গরম কমে না।’
এই আবহাওয়াবিদ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করবে। আর পরশু দিন অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হবে। তখন গরম কিছুটা কমে যাবে।‘
বজলুর রশিদ আরও জানান, ‘লঘুচাপটি এখন উড়িষ্যা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছে। এটির প্রভাবেই বাংলাদেশে বৃষ্টি বাড়বে।’
এদিকে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, বগুড়ায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত একদিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। আর এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে সাতক্ষীরায় ৫৪ মিলিমিটার।