করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাল্যবিয়ের সংখ্যা বেড়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে এই হার অনেক বেশি। এ নিয়ে এ নিয়ে সরকার, বেসরকারি সংগঠন, এনজিওসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংস্থা শঙ্কাও প্রকাশ করেছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে নানা কর্মসূচি নিলেও তার ফলাফল প্রায় শূন্যই বলা যায়।
এর মাঝেই শুধু অক্টোবর মাসে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ১ হাজার ২৪৩ জন কন্যাশিশু। মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তাদের উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিয়ের এ তথ্য জানা যায়। শুধু তাই নয়, এ সময় ১ হাজার ৩৮০ জন কন্যাশিশু এবং ২২৩ জন নারী, অর্থাৎ মোট ১ হাজার ৬০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
দরিদ্রতা, পারিবারিক ও সামাজিক অসচেতনতার কারণে বাল্যবিয়ে এখনও হচ্ছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
মহিলা পরিষদ সভাপতি ড. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘মেয়েদের ওপর বাল্যবিয়ের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে, যা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়। উন্নয়নশীল বিশ্বে গর্ভ ও সন্তানধারণের জটিলতা অল্প বয়সে নারী মৃত্যুর অন্যতম কারণ মনে করা হয়। এ অবস্থায় দেশে বাল্যবিয়ে ঠেকাতে মেয়েশিশুর পরিবারকেই আগে সচেতন করতে হবে।‘