অনেকেই আছেন যারা আয় ও ব্যায়ের মাঝে সামঞ্জস্য রাখতে পারেন না। আয় বুঝে ব্যয় করা খুব জরুরি। অনেক সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ আমরা করে ফেলি। কিন্তু দিনশেষে কিছু জমানো টাকা দরকার। জীবনে চলার পথে কখন, কোন প্রয়োজন এসে যায় তা আগে থেকেই বোঝা যায় না। তাই কিছু অর্থ জমা থাকলে যুদ্ধ করাটা সহজ হয়। অন্তত কারো কাছ থেকে ধার না করার বাতিক কমানো উচিত। আর এর জন্য হাতখরচ কমাতে হবে।
প্রতি মাসে একটু একটু করে টাকা জমাতে চাইলে কিছু উল্টাপাল্টা খরচ বাদ দেওয়া উচিত। আমরা যদি প্রতিদিনের খরচ খানিকটা কাঁটছাট করি তাহলে কিছু খরচ বেঁচেই যায়।
খরচ কমাতে করণীয়
১। আমাদের সবারই বাইরের খাবারে প্রতি বারতি আগ্রহ থাকে। সুযোগ পেলেই রেস্টুরেন্টে খেতে চলে যাই কিংবা বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে দেই। এতে করে অনেকগুলো টাকা বেরিয়ে যায় হাত থেকে। বাইরে থেকে পছন্দের খাবার না খেয়ে বরং বাসায়ই বানিয়ে নিতে পারেন। এতে খরচও যেমন কমবে, সেই সাথে স্বাস্থ্যকর খাবারও খাওয়া হবে।
২। আমাদের অনেকেরই অতিরিক্ত পোশাক কেনার প্রবণতা আছে। এই প্রবণতা দূর করা উচিত। যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই কিনুন। এমনকি অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা থাকলেও খরচ বাড়ে লাগামহীনভাবে। আমরা চাইলেই পুরোনো পোশাক অদলবদল করে পরতে পারি।
৩। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যাতায়াত বাবদ অনেক টাকা বেরিয়ে যায়। অনেকেরই গণপরিবহন বাদ দিয়ে সিনএনজি, অথবা রাইড শেয়ারিং ব্যবহার করার অভ্যাস থাকে। আমরা যদি খুব দরকার ছাড়া রাইড শেয়ারিং ব্যবহার থেকে বিরত থাকি তাহলে অনেকটা খরচ বেঁচে যাবে। শুধু প্রতিদিনের জীবনেই না, ভ্রমণের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য।
৪। বেশির ভাগ সময় আমরা ঘরের লাইট, ফ্যানের সুইচ অফ করতে ভুলে যাই। ফলে মাসের শেষে একটা বড়সড় বৈদ্যুতিক বিল আসে। এই অতিরিক্ত খরচ কমাতে সতর্ক থাকা জরুরি।