দিনের একটি বড় সময় কাটে আমাদের মোবাইলের পর্দায় চোখ রেখে। কেউ কেউ তো আছেন, নাওয়া-খাওয়ার সময়ও মোবাইল থেকে চোখ সরান না! প্রতিনিয়ত মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেটের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মারাত্বক বিপদ ডেকে আনতে পারে চোখ ও অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চোখের উপর চাপ পড়ার ফলে দেখা দিতে পারে মাথা যন্ত্রণা, অস্বচ্ছ দৃষ্টি, ঘাড়ের ব্যাথা, চোখের শুষ্কতা ও মনোযোগের সমস্যার মতো সমস্যা। দেখা দিতে পারে স্নায়ুরোগ ও অনিদ্রার সমস্যাও। তাই নিয়মিত চোখের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
আজ বিবিএস বাংলার পাঠকদের জন্য থাকছে কিভাবে স্মার্ট ডিভাইস বা গ্যাজেট ব্যবহার করেও চোখ থাকবে নিরাপদ।
১। স্মার্ট ডিভাইস বা গ্যাজেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে পর্দা থেকে চোখের ব্যবধান হতে হবে অন্তত ২৫ ইঞ্চি। এর থেকে কম দূরত্বে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। বিশেষত দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে অনেকটাই বাড়ে সমস্যা।
২। শরীর সুস্থ রাখতে যেমন নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন তেমনই চোখ ভাল রাখতেও করতে হবে চোখের ব্যায়াম। এই ক্ষেত্রে মেনে চলতে পারেন ২০-২০ নিয়ম। এই নিয়ম অনুসারে কুড়ি মিনিট একটানা পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার পর অন্তত কুড়ি সেকেন্ড কুড়ি ফুট দূরত্বের কোনও বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। পাশাপাশি, বারবার চোখের পলক ফেলাও জরুরি।
৩। যাদের স্মার্ট ডিভাইস বা গ্যাজেটের স্ক্রিনে চোখ রাখা ছাড়া উপায় নেই, তাদের জন্য ক্ষেত্রে সঠিক স্ক্রিন বেছে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত ছোট ক্রিন ও অস্বাভাবিক আলো চোখের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যথেষ্ট আলো রয়েছে এমন স্থানে রাখতে হবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। অন্ধকারে মোবাইল, ল্যাপটপে কাজ করবেন না, এতে চোখের আরও বেশি ক্ষতি হয়।
৪। দীর্ঘ ক্ষণ কম্পিউটারের পর্দায় একটানা তাকিয়ে থাকলে দেখা দিতে পারে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের পর্দা যেহেতু দ্রুত পরিবর্তিত হয়, তাই বারবার কেন্দ্রিভূত করতে হয় দৃষ্টি। এতে চোখের পেশী ও স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। এক ভাবে পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে কমে চোখের পলক পড়ার সংখ্যা। ফলে দ্রুত শুকিয়ে যায় চোখ। তাই নিয়মিত চোখে পানি দিন।
৫। যারা নিয়মিত কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করেন, তাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। পাশাপাশি এমন চশমা ব্যবহার করতে পারেন, যা ডিভাইস থেকে নির্গত ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে।