fbpx

অনিশ্চয়তায় তিন লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ!  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ওপর ভিত্তি করে এই ফল প্রকাশ করা হয়।

এবারে মোট এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী। আর পরীক্ষায় পাসের হার শতভাগ।

তবে শিক্ষার্থীদের সাফল্য শতভাগ হলেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না তিন লাখ শিক্ষার্থী। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবতা এটিই বলছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পরিসংখ্যান বলছে, সারাদেশে সরকারি, বেসরকারি এবং বৃত্তিমূলক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ১১ লাখ আসন রয়েছে। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে ৮ লাখ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৮০ হাজার এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫৬ হাজার আসন রয়েছে।

পর্যাপ্ত সুবিধা থাকা স্বত্বেও শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। জনবল সংকট, ল্যাব সুবিধা না থাকা, ক্লাসরুম সংকট, সেশন জট, শিক্ষক সংকট, আবাসন সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জারিত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

এদিকে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতও এক বিরাট সমস্যা। পরিসংখ্যান বলছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১: ১৯, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১: ২২ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠানে ১: ৩০।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস ড. মনজুর আহমেদ বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য টিএসআর ১: ১৫ হতে হবে। এই অনুপাতের চেয়ে বেশি হলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’

শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করার ক্ষমতা নেই। সেখানে সর্বোচ্চ ৮ লাখ শিক্ষার্থীকে স্থান দেওয়া সম্ভব। আর বাকিদের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সকল পরীক্ষার্থীকে পাস নম্বর দেওয়া ছাড়া সরকারের আর কোনও উপায় ছিল না।

অন্যদিকে সরকার কীভাবে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এতো শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যবস্থা করবে এমন বিষয়ে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন ‘সবার উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে হবে তা তো নয়। আবার সবাই উচ্চশিক্ষায় ভর্তিও হবে না। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষা রয়েছে সেখানে তারা ভর্তি হতে পারবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply