fbpx

অনুমোদনবিহীন ইজিবাইক, নসিমন, করিমন নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

অনুমোদনবিহীন ইজিবাইক, নসিমন, করিমন নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে এসব যানের অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমানে বিআরটিএর অনুমোদিত (রেজিস্ট্রেশনকৃত) গাড়ির সংখ্যা ৫৫ লাখ ৮২ হাজার ৩১০টি। বর্তমানে অনুমোদনবিহীনভাবে ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ভটভটি প্রভৃতি যানবাহন রাস্তায় চলাচল করছে। এ ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে এ ধরনের যানের অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

আওয়ামী লীগের সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ এ বিষয়টি সত্য নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবশেষ ২০২০ সালে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হেলথ র‌্যাংকিং অনুসারে, ১৮৩টি দেশের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহারে বাংলাদেশের অবস্থা ৮৮তম। মৃত্যুহার এক লাখে ১৬.৭৪ জন। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান ও ভারতের অবস্থান যথাক্রমে ৭২, ৮২, ৮৫ ও ৯০তম। অর্থাৎ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপদ সড়কের দিক থেকে ভারতের পরেই আমাদের অবস্থান।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সড়কে ৬টি বাঁক সোজা করা হয়েছে। মহাসড়কগুলোতে ডিভাইডার বসানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নকল্পে গত বছর ৩০ জানুয়ারি থেকে পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নকালে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, সড়ক পরিবহন চালকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন মান্য করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘ভারি যানবহন চালক তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৩ লাখ ভারি যানবাহন চালক তৈরি করা সম্ভব হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply