‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন, মিলেমিশে দৌড়াচ্ছে বাংলার জনগণ’-এই স্লোগান নিয়ে দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত হল আন্তর্জাতিক ম্যারাথন।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এর আয়োজন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। ফুল ম্যারাথন ও হাফ ম্যারথন দু’টি ইভেন্টে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নেন মরোক্কো, কেনিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ, ফ্রান্স এবং দক্ষিণ এশিয়ার দৌড়বিদরা।
ফুল ম্যারাথনে দৌড়বিদরা পাড়ি দিয়েছেন ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার এবং হাফ ম্যারাথনে পাড়ি দিয়েছেন ২১ দশমিক ০৯৭ কিলোমিটার। রাজধানী আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হয়ে দুই ক্যাটাগরির ম্যারাথনই শেষ হয় হাতিরঝিল ঘুরে।
ফুল ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মরক্কোর হিশাম এল গুয়েরুজ। আর হাফ ইভেন্টের শিরোপা জিতেছেন কেনিয়ার এডউইন কিপরপ কিপো। আর বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে আগে দৌড় সম্পন্ন করেছেন মো: ফরিদ।
নারী বিভাগে দুই ইভেন্টেই শিরোপা জিতেছেন কেনিয়ার দুই দৌড়বিদ। একজন অ্যাঞ্জেল, অন্যজন নাওম জেবেত। এগিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন ও সুমি আক্তারও। উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি ছিলনা এশিয়ার অন্যান্য দৌড়বিদদের মধ্যেও।
প্রতিযোগিতায় এলিট চ্যাম্পিয়নরা পুরস্কার পাবেন ১৫ হাজার মার্কিন ডলার এবং দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশি চ্যাম্পিয়নরা পাবেন পাঁচ লাখ টাকা করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। শেষে পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থিত ছিলেন, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন’ আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশন (এএএ) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথন অ্যান্ড ডিসটেন্স রেসেস (এইমস) -এর অনুমোদন পেয়েছে।
একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়া ফুল ও হাফ ম্যারাথন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে। আর এতে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) এবং বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন।