ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের মাছিলিপটনাম ও নার্সাপুরমের মধ্যবর্তী স্থানে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আসানি।
বুধবার (১১মে) মাঝরাতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঝড় আঘাত হানে।
তবে আসানি তটরেখায় আঘাত হানার আগে শক্তি হারিয়ে বেশ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় বলে জানিয়েছেন ভারতের আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তা। আসানির প্রভাবে প্রদেশটির উপকূলের জেলাগুলোতে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। এর সঙ্গে ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে।
আসানির প্রভাবে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। এছাড়া এলাকাগুলোতে আগামী কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এর আগে ধারণা করা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত আসানি হয়তো উপকূলে আঘাত হানবে না। কিন্ত বুধবার দুপুরে হুট করেই ঝড়টি গতিপথ পরিবর্তন করে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে। আসানির প্রভাবে এই প্রদেশ ছাড়াও তামিলনাড়ু, উড়িষ্যা ও কেরালায় বৃষ্টি হচ্ছে।
আঘাত হানলেও এই ঝড়ের শক্তি অনেকটাই কমে গিয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসসহ ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম বলছে, ঝড়টি গভীর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ায় আক্রান্ত এলাকায় খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বৃহস্পতিবারও মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলেদের সাগরে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।
আসানির প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুর ফ্লাইটেও কিছুটা বিপর্যয় দেখা গেছে।