fbpx

অবকাঠামো নির্মাণে শুধু রাজউক নয়, লাগবে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

তিনি আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বর্ষা মৌসুমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশনের নেওয়া কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারী-বেসরকারী বাসাবাড়ীসহ সকল ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ছাড়াও সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি নিতে হবে। আর শুধু অনুমোদন দিলেই হবে না। অনুমোদকৃত স্থাপনা নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

তিনি জানান, ঢাকা শহর এবং এর আশপাশে অনেকগুলো সেতু রয়েছে যেগুলির নেভিগেশন ফ্যাসিলিটি নেই। এসব সেতু ভেঙ্গে নৌ চলাচল সুবিধা রেখে নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সকল খাল সংস্কার করে একটি খালের সাথে অন্যটির সংযোগ এবং খালের দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলে নগরবাসীকে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন শহর উপহার দেয়া সম্ভব।

অবকাঠামো নির্মাণে শুধু রাজউক নয়, লাগবে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন

মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভা। ছবি : বাসস

তিনি বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় খাল দখল করে ট্রাক স্ট্যান্ড, মার্কেট এবং আবাসিক বাসভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কল্যাণপুরে ১৭৩ একর জমির মধ্যে ৩ একর জমি বাদে সব জমি দখল করা হয়েছিল। উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে অভিযান চালিয়ে খালের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু উত্তর সিটি কর্পোরেশন নয় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনেও উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। অবৈধভাবে যে কেউ খাল দখল করুক না কেন, তা উদ্ধার করা হবেই।

আসন্ন বর্ষায় রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে যেন ভোগান্তী না হয় সে লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। শুধু সভা করে পরিকল্পনা করলে হবে না ফলাফল আনতে হবে। এজন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ খাল ও জলাশয় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ। ওয়াসা থেকে খালগুলো দুই সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করায় খাল সংস্কার, দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমি আশা করি এবছর রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, খাল উদ্ধার, সংস্কার, দখলমুক্ত এবং দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একটি সাব কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এসময় উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম (ভার্চুয়ালি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply