কখনও তিনি হতে চেয়েছিলেন উত্তম কুমার, কখনওবা হতে চেয়েছিলেন দিলীপ কুমার…বলতে গেলে তাদের অভিনয় দেখেই অভিনয়ের পোকা ঢুকেছিলো অভিনেতা আলমগীরের মাথায়।
সেই ১৯৭২ সালের ২২৪ জুন থেকে থেকে শুরু, গুণে গুণে অভিনয়ের ৫০ বছর, এখনও তিনি চির সবুজ, চির তরুণ।
বাবা ভেবেছিলেন ছেলে হবে ডাক্তার, অন্যদিকে মা চেয়েছিলেন ছেলেকে বড় উকিল বানাতে, কিন্তু আলমগীর চেয়েছিলেন তিনি হবেন পাইলট। কিন্তু সেটা কী করে হয়, বাংলাদেশের সিনেমা তাহলে কিভাবে এই দুর্দান্ত অভিনেতাকে পেতো? আর সে কারণেই হয়তো তিনি হয়ে গেলেন একজন জাদরেল অভিনেতা।
১৯৭২ সালের ২৪ জুন আলমগীর, কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে মাত্র ২২ বছর বয়সে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেতা আলমগীর। অনবদ্য এই অভিনেতার জীবনের ধ্যান-জ্ঞান অভিনয়। প্রায় স্বাক্ষাতকারেই বলেন, ‘আমি সিনেমা খাই, পান করি, সিনেমাতে ঘুমাই…আসলে সিনেমাই আমার সব’।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘আমার জন্মভূমি’ এবং ‘দস্যুরানী’ নামের দুটি ছবি একসাথে মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৩ সালে। অভিনয় জীবনের প্রথম সিনেমা বলে কথা, সে কারণেই হয়তো ‘আমার জন্মভূমি’র জন্য এই অভিনেতার আছে আলাদা ভালোবাসা। মুঠোফোনের ওয়ালপেপারে সবসময়ই ‘আমার জন্মভূমি’র ছবি রেখে দেন। এত এত সুনাম, এত দক্ষ একজন অভিনেতা অথচ এখনও নিজেকে ভাবেননা সুঅভিনেতা।
অভিনয় জীবনে পেয়েছেন ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার। জুটি হিসেবে অনেকের সাথে কাজ করলেও বাংলা সিনেমায় আজও আলমগীর-শাবানা জুটি সবেচেয়ে বেশি আলোচিত।
১৯৮৫ সালে প্রথম ‘মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ টানা ৪ বছর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি, যা আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
তিনি যে শুধুমাত্র দক্ষ অভিনেতা তাই নন, সেই সাথে তিনি একজন সফল পরিচালক, প্রযোজক।
https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/392627859496596