fbpx

অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স অর্জিত হয়েছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান।

সংসদ নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটি উচ্চ রেমিট্যান্সপ্রাপ্ত দেশ। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির পরও ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ৪৯৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স অর্জিত হয়েছে।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত কয়েক বছরে গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বৈধভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে কর্মীদের উৎসাহিত করা; অধিক কর্মী পাঠানের মাধ্যমে রেমিট্যান্সে প্রবাহ বৃদ্ধি করা; অধিক রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অনিবাসী/প্রবাসী বাংলাদেশি ওয়েজ আর্নারদের জন্য সরকার কর্তৃক বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং বিশেষ নাগরিক সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা উল্লেখযোগ্য।

তিনি জানান, প্রবাসীদের মাঝে রেমিট্যান্সে প্রেরণকারী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫৭ জন এবং বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক ক্যাটাগরিতে ১০ জনসহ মোট ৬৭ জনকে সিআইপি (এনআরবি) ২০২০ ঘোষণাপূর্বক সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও জানান, প্রবাসী কর্মীদের অর্জিত অর্থ বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাসসমূহ অব্যাহত প্রচার চালিয়ে আসছে। প্রতিবছর ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’সহ দূতাবাসের সব অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে রেমিট্যান্সের কোনো বিকল্প নেই এবং তা আনতে হবে বৈধ পথে।

তিনি জানান, নতুন শ্রম বাজার অনুসন্ধান, বিদ্যমান বাজার সংহত করা এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় দেশসমূহের সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলো আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজির আহমদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে মোট খাদ্যশস্য উৎপন্ন হতো ৩ কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে ৭০টির বেশি দেশে সবজি ও ফল রপ্তানি হচ্ছে এবং কৃষি পণ্য রপ্তানি ১০০ কোটি ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি জানান, বর্তমান বাংলাদেশ বিশ্বে চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে, সবজি ও পেঁয়াজে তৃতীয় স্থান, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে ৪র্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে ৭ম স্থানে উন্নীত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বাসস

Advertisement
Share.

Leave A Reply