পদ্মা বড় বিচিত্র। এ নদী কখন ভাঙে কখন গড়ে তা বোঝা দায়। এ অসময় শীতে এ বছর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে পদ্মায়। এর কারণে বসতভিটা হারাচ্ছে পাড়ের মানুষ। ইতিমধ্যে বহু জমি এই ভাঙনে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট থেকে দেবগ্রাম ইউনিয়নের অন্তারমোড় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটসহ আশপাশের গ্রাম ও বসতভিটা। অনেকে সরে গেছেন নিরাপদ স্থানে। এই মৌসুমে নদীতীরবর্তী ৯টি গ্রামের প্রায় ৪০০ পরিবার ভাঙন আতঙ্কে বসতভিটা ছেড়েছে। বিলীন হয়েছে অন্তত ৩০০ একর কৃষিজমি। এখনো আটটি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার রয়েছে ভাঙনঝুঁকিতে।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট আধুনিকায়নে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ২ কিলোমিটার ও লঞ্চঘাটের বিপরীতে ৪ কিলোমিটার নদীশাসনের জন্য পাউবোর বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫১০ কোটি টাকা। বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হলেই দ্রুত কাজ শুরু হবার কথা গণমাধ্যমকে জানান পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ সরকার ।
স্থানীয়রা বলছেন, গত দু’ মাসে একটু একটু করে রাস্তাসহ জমি বিলীন হয়ে গেছে । যেখানে ৪০০ পরিবার ছিল সেখানে এখন দু’একটি পরিবার আছেন, কারণ তাদের অনেক জমি আছে। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত কাজ না হলে সব নদীতে চলে যাবার আশঙ্কা করছেন তারা।
এলাকাবাসী বলেন, ঘাটের উজানে বসতভিটা ও অনেক আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাওয়ায় পানির স্রোত এখন সরাসরি লঞ্চঘাটে এসে আঘাত হানছে। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট
সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। ঘাটটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
নদী শাসনে বছর বছর ব্যয়িত অর্থ কিসে খরচ হচ্ছে? -এ প্রশ্নও রেখেছেন এলাকাবাসী।