দূর প্রবাসে থেকেও মন পড়ে রয়েছে বাংলার মাটিতে। মার্কিন মুলুকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত বাংলাদেশের জিতেন মণ্ডল। আধুনিক জীবন-যাপন আর স্বচ্ছল অর্থনৈতিক অবস্থা। তবু বুকের মধ্যে আকুল শূন্যতা দেশের হাওয়া-বাতাস আর মাটির মানুষের জন্য।
সব ব্যস্ততা ফেলেই নাড়ির টানে বছরে অন্তত দু-তিনবার দেশে ছুটে আসেন জিতেন। শুধু পরিবার-পরিজন নয়, প্রতিবেশী অসহায় মানুষদেরও কাছের মানুষ হয়ে উঠছেন গোপালগঞ্জের এই যুবক। সম্বলহীনদের পাশে দাঁড়ান ছাতা হয়ে।
গেলবছর দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর, নিজ গ্রাম বানিয়ারচরের শতশত অভাবী মানুষকে খাবার, বস্ত্র দেন জিতেন। শুধু নিম্নবিত্ত নয়, নিম্ন মধ্যবিত্তদের পাশেও থাকেন জিতেন। তিনি জানান, ‘অনেকেই পেটে ক্ষুধা থাকলেও মানুষের কাছে চাইতে পারেন না, তাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। তাদের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করছি”
উৎসব পার্বনে অসহায়দের বিবর্ণ জীবনে সাধ্য মত খুশি আনার চেষ্টা করেন জিতেন। নতুন কাপড় পৌঁছে দেন তাদের দুয়ারে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক বা দুর্ঘটনা দূর প্রবাস থেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মানবিক এই মানুষটি।
বিবিএস বাংলাকে জিতেন মণ্ডল জানান, ভবিষ্যতে একটি ফাউন্ডেশন করার ইচ্ছা আছে তার। যেখানে শিশুদের নিয়ে কাজ করবেন তিনি। শিশুদের শিক্ষা ও মানবিক বিকাশের ক্ষেত্রে যাতে কোনো বাধা না হয় সেই স্বপ্ন দেখেন তিনি।
জিতেন বলেন, ‘ অন্যের পাশে দাঁড়াতে না পারলে, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রাণী হয়ে তো কোনো লাভ নাই। আমার সামর্থ আছে, তাই যতটুকু পারি করি। এটাই স্বাভাবিক হওয়া উচিৎ’
জিতের মণ্ডলে এমন মানবিক মূল্যবোধে ভালবাসা উজার করে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরাও। অনেকের কাছেই তিনি হয়ে উঠেছেন ভরসার আর শ্রদ্ধার জায়গা।