করোনার বিরুদ্ধে প্রত্যাশার চেয়ে ভাল কাজ করছে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ভ্যাকসিন। করোনা প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিন ৭৯ শতাংশ কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্রে মানবদেহে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা শেষে সোমবার এ তথ্য জানানো হলো।
এতে আরও বলা হয়, গুরুতর অসুস্থতা বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি ঠেকাতে ভ্যাকসিনটি শতভাগ কার্যকর। একই সাথে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
৫০ টিরও বেশি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনিকার ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এখনও এটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। দেশটিতে ভ্যাকসিনটির মানবদেহে পরীক্ষার ইতিবাচক ফল, এটি অনুমোদনের পথ সুগম করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের মানবদেহে পরীক্ষায় ৩২ হাজার ৪৪৯ জন অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে দুই–তৃতীয়াংশের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। এবং প্রায় ৬০ শতাংশের স্বাস্থ্যগত অবস্থা কোভিড–১৯–এর জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁরা ডায়াবেটিস, অত্যধিক স্থূলতা, হৃদ্জনিত রোগে আক্রান্ত। সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটি করোনা মোকাবিলায় ৭৯ শতাংশ কার্যকর। আর গুরুতর অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ঠেকাতে এই টিকা ১০০ শতাংশ কার্যকর।
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব রোচেস্টারের সঙ্গে যৌথভাবে ওই পরীক্ষা চালায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। পরীক্ষা শেষে গবেষকরা জানান, ৬৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা খুবই উৎসাহব্যাঞ্জক।
সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড টিকার ব্যবহার সাময়িকভাবে স্থগিত করে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে। এসব দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার কয়েকটি ঘটনা সামনে আসে। তবে ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল এই টিকা নিরাপদ।