উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইটি ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা চালিকা শক্তি হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ৫ লক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড প্রদান করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যান্য তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করতে সফল ফ্রিল্যান্সারদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা জেলার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নির্বাচিত ৩১৮ জন সফল ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ল্যাপটপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পলক দেশে সাড়ে ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সফল ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে যদি উদ্যোক্তা হতে পারে, তাহলে আরো লক্ষ লক্ষ তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশের তরুণরা চাকুরির পেছনে ঘুরবে না, চাকুরির ক্ষেত্র তৈরি করবে।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে আইটি ফ্রিল্যান্সার বা উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারলে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আয় করতে পারবে। এ লক্ষ্য নিয়েই লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
দেশের আইটি ফ্রিল্যান্সারদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প থেকে ১০ লক্ষ এবং এটুআই প্রোগ্রামের ইনোভেশন ফান্ড থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সীড মানি এবং রকেট্রি, রোবটিক্স ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত গ্রান্টসহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে হাইটেক পার্ক সমূহে কো-ওয়ার্কিং স্পেস দেয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে আমাদের কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। সে অনুযায়ী দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হলে আমরা মারাত্মক সংকটের মধ্যে পড়বো।
পরে প্রতিমন্ত্রী সফল ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ল্যাপটপ ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।