ভারতীয় গুণী নির্মাতা তরুণ মজুমদার অসুস্থ হয়ে ৭ দিন ধরে কলকাতার পিজি সরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। যকৃতের জটিলতা নিয়ে এই নির্মাতা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার চিকিৎসা চলছে।
১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তরুণ মজুমদার। ‘চাওয়া পাওয়া’ ছিলো তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা। সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন ১৯৫৯ সালে। প্রথম সিনেমাতেই তিনি নিয়েছিলেন উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনকে। সিনেমা বানিয়েছেন মোট ৩৬টি। ২০১৮ সালের ‘ভালোবাসার বাড়ি’ ছিলো তার শেষ সিনেমা। ওই বছরই শেষ তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন তিনি। তথ্যচিত্রটি হলো ‘অধিকার’।
তরুণ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে গণদেবতা, কাচের স্বর্গ, যদি জানতেম, পলাতক, দাদার কীর্তি, শহর থেকে দূরে, মেঘমুক্তি, খেলার পুতুল, অমর গীতি, ভালোবাসা ভালোবাসা, পথভোলা, আগমন, আলোর পিপাসা, একটুকু বাসা, বালিকা বধূ, নিমন্ত্রণ, কুহেলি, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ঠগিনি, ফুলেশ্বরী, পরশমণি, আপন আমার আপন, সজনি গো সজনি, কথাছিল, আলো, ভালোবাসার অনেক নাম, চাঁদের বাড়ি, ভালোবাসার বাড়ি, উল্লেখযোগ্য।
তরুণ মজুমদার চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সাতবার বিএফজেএ পুরস্কার, পাঁচবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ আনন্দলোক পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া তিনি পেয়েছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মশ্রী ১৯৯০ সালে।
এই নির্মাতার সিনেমা মানেই রঙের বাহার। তার সিনেমায় অভিনয় করেছেন উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ি সান্যাল, তুলসী চক্রবর্তী , সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, জহর রায়, সুপ্রিয়া চৌধুরী, শমিত ভঞ্জ, মাধবী মুখার্জি, অসিত বরণ, দিলীপ মুখার্জি, অনিল চ্যাটার্জি, রুমা গুহঠাকুরতা, মৌসুমি চ্যাটার্জি, বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি, দেবশ্রী রায় , মহুয়া রায় চৌধুরী, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা প্রমুখ টালিউড তরকারা।