fbpx

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পবিত্র রমজান মাসে প্রায় নিয়মিত ইফতার পার্টির আয়োজন করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনকেও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। তবে এবার রমজান মাসে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনও ইফতার পার্টি করা হবে না।

শনিবার (২৫ মার্চ) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত কোনও ইফতার পার্টি করবে না বলে জানানো হয়। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃচ্ছ্রতা সাধন করবেন। এই বৈশ্বিক সংকটে গরিব মানুষের জন্য ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী দলের পক্ষ থেকে তুলে দেবেন। ইফতার পার্টি করতে নেত্রী বারণ করেছেন। গণভবনেও কোনও ইফতার পার্টি হচ্ছে না।’

আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘বড় বড় ইফতার পার্টির কোনও প্রয়োজন নেই। জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির কারণে যারা কষ্টে আছেন আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। তাদের কাছে ইফতার সামগ্রী পৌঁছাবো। দলীয়ভাবে টাকা খরচ করার কোনও প্রয়োজন নেই, এই টাকা গরিবের মাঝে বিতরণ করুন। এটা নেত্রীর নির্দেশ, আমি আপনাদের জানিয়ে রাখলাম।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের রমজানে গণভবনে কোনও ইফতার পার্টির আয়োজন করবেন না। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবেও এবার সাদামাটা ইফতার করবেন। সরকারের ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে হাসান জাহিদ তুষার জানান, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী যে সাশ্রয়-নীতি অবলম্বন করেছেন, ব্যক্তিগত জীবনে সেটারই অংশ হিসেবে তিনি এবার কোনও ধরনের ইফতার পার্টি করবেন না। ইফতারে সংযম এবং ব্যয় সংকোচন করবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী রমজান মাসে গণভবনে এতিম, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনীতিকসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকেন। তবে এ বছর তার ব্যত্যয় ঘটছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply