আগামীকাল ২৩ মে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২৫টি স্থাপনা উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন তিনি।
আজ (২২) মে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী যে সব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এর মধ্যে রয়েছে, ১১০ টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ৩০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র,৩০ টি জেলা ত্রাণ ও গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র ও ৫ টি মুজিব কিল্লা উদ্বোধন এবং ৫০ টি মুজিব কিল্লা’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ।
এদিকে উপকূলীয় এলাকায় বয়স্ক, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ৩২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। এইসব এলাকার মানুষ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস ঘোষণার সাথে সাথে তাদের গবাদিপশু ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন ।
বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙ্গন এলাকায় বন্যা পীড়িত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য দ্বিতল বিশিষ্ট ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে । এই আশ্রয়কেন্দ্রে একসাথে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ এবং ২৩ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে ২০১৮-২০২২ মেয়াদে ৪২৩ টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে ।
এদিকে দেশের যুব সমাজকে চাকরীর পিছনে না ছুটে মৎস্য উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২২মে শনিবার মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই এবং জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।’