fbpx

আগামী বছর থেকে বন্ধ হচ্ছে থ্রিজি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সরকার এখন চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে জোর দিচ্ছে। তাই আগামী বছরের শুরু থেকে থ্রিজি ডিভাইসের আমদানি ও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। একইসঙ্গে দেশে ফাইভজিও সচল করা হবে।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রধান কার্যালয়ে মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান পরিমাপে অত্যাধুনিক কোয়ালিটি অফ সার্ভিস বেঞ্চমার্কিং সিস্টেমের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা টুজিতে থাকব আরও কয়েক বছর। তার কারণ এই মুহূর্তে টুজি বন্ধ করে দেয়ার মতো অবস্থা আমাদের নেই। কিন্তু আমরা থ্রিজিতে থাকব না। আগামী জানুয়ারি থেকে থ্রিজি ডিভাইস আমদানি ও রপ্তানি দুটোই বন্ধ হয়ে যাবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ সালে ফাইভজির স্পেকট্রাম দিয়েছি। তবে সরকার ফোরজির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সুখবরটা হচ্ছে, আমাদের দেশের ৯৮ ভাগ অঞ্চল ইতোমধ্যে ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। ফোরজিকে শক্তিশালীভাবে পরিচালনা করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এজন্য অপারেটরদের প্রচণ্ড চাপ দেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে কোনো অপারেটরেরই গ্রাহকসেবা সন্তোষজনক না। প্রতিনিয়ত গ্রাহকের কাছ থেকে নানান ধরনের অভিযোগ আসে। গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে ফোনে কথা বলবে, কলড্রপ সহ্য করার মত গ্রাহক বর্তমানে আর নেই।’

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ বলছে, মোবাইল অপারেটররা দিন দিন কেবল গ্রাহক বাড়ানোর দিকেই নজর দিচ্ছে, অথচ তাদের উচিত বর্তমান গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া।

তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত প্রযুক্তির এই যুগে সেবার মানের দিকে নজর না দিলে গ্রাহক ধরে রাখা কঠিন হবে। এমএনপি চালু হওয়ায় নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলানোর সুযোগ রয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘টেলিকম খাতে গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির অব্যাহত প্রচেষ্টায় নতুন এই বেঞ্চমার্কিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে সারা দেশে মোবাইল সেবার মান পরিবীক্ষণ ও সেবার মানের উন্নতিকল্পে বিটিআরসি অধিকতর সক্ষমতা অর্জন করবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারাদেশে আউটডোর ও ইনডোরে সেবার মান পর্যবেক্ষণে জার্মানিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রোডে অ্যান্ড শোয়ার্জ থেকে উচ্চ প্রযুক্তির এই বেঞ্চমার্কিং যন্ত্রপাতির টেস্ট ও ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। বিটিআরসির জনবলকে এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারে কারিগরি প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।

এই সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সেবার মান পরিমাপে চারটি ইউনিট ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে দুটি ভেহিক্যাল মাউন্টেড চেসিস বেইজড সিস্টেম এবং দুটি ব্যাকপ্যাক বেইজড সিস্টেম। প্রতিটি চেসিস বেইজড সিস্টেমের মোট ২৪টি টার্মিনালের মাধ্যমে একসঙ্গে সব অপারেটরের টুজি ভয়েস, থ্রিজি ভয়েস, ফোরজি ভয়েস, থ্রিজি ডাটা, ফোরজি ডাটা এবং ওভার দ্য টপ অ্যাপস তথা ফেসবুক, গুগল ও হোয়াটসঅ্যাপের সেবার মান পরিমাপ করা যাবে।

চেসিস বেইজড সিস্টেমগুলো গাড়িতে বসানো হয়েছে এবং এসব গাড়ি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। আর ব্যাকপ্যাক বেইজড সিস্টেমের মাধ্যমে আউটডোরের সঙ্গে বিভিন্ন ইনডোর স্থান যেমন শপিংমলের ভেতরে, বিভিন্ন ভবনের বেসমেন্ট, বাড়ি ও অফিসের ভেতরে সহজে মোবাইল সেবার মান যাচাই করা যাবে।

চারটি ইউনিটের প্রতিটির সঙ্গে সংযুক্ত স্ক্যানারের মাধ্যমে যে কোনো স্থানে নেটওয়ার্ক কাভারেজ যাচাই করা যাবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply