আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী। কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিনদিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। নজরুল জন্মবার্ষিকীতে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘বিদ্রোহী’র শতবর্ষ’।
১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে তাকে ঢাকায় এনে জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কবির ‘চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’কে সামরিক সংগীত হিসেবে নির্বাচিত করে তাকে সম্মানিত করা হয়।
এ বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লায়। কুমিল্লার বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে (টাউন হল) সকাল ১১ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এছাড়া ঢাকাসহ জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল, কুমিল্লার দৌলতপুর, মানিকগঞ্জের তেওতা, চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা এবং চট্টগ্রামে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
২৫ মে, রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আয়োজন করেছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দপ্তর ও সংস্থাসমূহ এ উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ সম্প্রচার করবে।
