fbpx

আদার বহুমাত্রিক উপকারীতা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আদা তীক্ষ্ণ ঝাঝালো স্বাদযুক্ত হয়ে থাকে। আদা যে শুধুমাত্র ভালো স্বাদের, তাইই না, খুবই পুষ্টিকর। সবধরণের ভিটামিন এবং মিনারেলে ভরপুর। আদা নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে অনেক উপকারের কথা বলা হয়েছে।  ১০০ বছর আগেও সকল রোগের ঔষধ হিসেবে আদা ব্যবহার করা হতো।

আদা খাওয়ার একটা বড় উপকারীতা হলো বমি বমি ভাব দুর হওয়া। আপনার যখনই বমি বমি অনুভূতি হবে, তখন একটু আদা খেয়ে নিন, বমি বমি ভাব দুর হবে সহজেই। ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে আদা। হজমের জন্যও আদা সহায়ক ভুমিকা পালন করে। শুধু তাইই না, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, মস্তিষ্কের গঠনে আদা দারুণ ভুমিকা পালন করে। সবচেয়ে কার্যকর ভুমিকা পালন করে ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়াতে।

আজ আমরা জানবো স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত আদা খাওয়ার উপকারীতা।

ব্যাথানাশক- শরীরে ব্যাথা বা প্রদাহ দেখা দিলে দ্রুত আরোগ্য করতে আদার জুড়ি নেই। প্রদাহ কমাতে আদা হচ্ছে শক্তিশালী মহৌষধ।

বমি বমি ভাব দুর করে- আপনার কি সকালে বমি বমি ভাব হয়? বাজি ধরে বলতে পারি, আপনি যদি প্রতিদিন আদা খান তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন অনায়াসেই। বিশেষকরে, গর্ভবতী মহিলা এবং যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তারা খুব উপকার পাবেন নিয়মিত আদা খেলে।

পেশী ব্যাথা হ্রাস- আপনি কি মাসল পেইনে ভুগছেন? আদা আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু হতে পারে। প্রতিদিন আদা খেলে ধীরে ধীরে মাসল পেইন কমে যাবে অনেকটাই।

অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ- প্রতিদিন আদা খেলে অন্ত্রের গতিবিধি ভালো থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীরা খুব উপকার পাবেন নিয়মিত আদা খেলে। ১ মাস চেষ্টা করেই দেখুন। পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

পিরিয়ডের ব্যাথা হ্রাস- প্রতিমাসে মেয়েরা পিরিয়ডের সময়টাতে খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যায়। কম-বেশি সব মেয়েরাই এ সময় তলপেটে ব্যাথা অনুভব করেন। আদা এই সমস্যার সমাধান দেবে অনেকটাই।

কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ- ১ মাস আপনি যদি প্রতিদিন আদা খান, তাহলে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কম থাকবে। খারাপ কোলেস্টোরেল কমারে সাহায্য করে আদা।

ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়ায়- ব্যাথানশক উপাদানে ভরপুর আদা ইমিউওনিটি সিস্টেম বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি কি ভাইরাস বা ঠান্ডায় ভুগে থাকেন? তাহলে আপনার পরম বন্ধু হবে আদা। নিয়মিত আদা খেলে আপনি খুব দ্রুতই আরোগ্য লাভ করবেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply