fbpx

আপদকালীন চিন্তায় আরও সাশ্রয়ী এবং মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে সারাবিশ্বে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। এ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, হতাশ হবার মত কিছু নেই। যখন যে অবস্থা হবে, তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই আমাদের চলতে হবে এবং আমাদের নিজস্ব যতটুকু ব্যবস্থা আছে, সেটা নিয়েই আমরা চলবো।

শনিবার (২৩ জুলাই) পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশসাশন পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস যেতে না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, ডলারে আদান প্রদান বন্ধ করে দেয়া, যে কারণে আজকে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী। আজকে সার কেনা, খাদ্য কেনা বা জ্বালানি তেল কেনার মত বিষয়ে আমরা বাধাগ্রস্থ হচ্ছি। সমগ্র বিশ্বই একটা দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়ে একটি দেশকে শিক্ষা দেয়ার ফর্মূলায় আজকে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মত অনেক উন্নত দেশও বিপাকে পড়ে গেছে। আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু অনেক উন্নত দেশে অনেক অনেক বেশি মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।

ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক উন্নত দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল সাশ্রয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করার তথ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতায় বাংলাদেশ এখনও অনেক দেশ থেকে ভালো অবস্থায় রয়েছে তবে আপদকালীন চিন্তায় আমাদের আরো সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে এবং যেকোন প্রকার অপচয়কে রোধ করতে হবে।

সরকার প্রধান এই সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের গতি আরো ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করাতেও তার সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।

দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তার সরকার সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং একটার পর একটা চ্যালেঞ্জ সফলভাবে বাস্তবায়ন করাটা তৃপ্তিদায়ক বলেও তিনি উল্লেখ করেন এবং এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে সকলকে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে ২৭ জন কর্মকর্তা, তিনটি মন্ত্রণালয় ও একটি ইউনিটের কাছে পদক তুলে দেওয়া হয়। এবার ‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ‘উন্নয়ন প্রশাসনে’ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেয়েছে।

‘জনসেবায় উদ্ভাবন’ ক্ষেত্রে ‘সুরক্ষা অ্যাপ’-এর জন্য দলগতভাবে পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ঢাকার জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম এবং সুরক্ষা ডেভেলপার ইউনিট। পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে একটি করে স্বর্ণপদক, সম্মাননা পত্র, ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দুই লাখ টাকা এবং দলগত অবদানের জন্য ৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে স্বর্ণপদক, সম্মাননা পত্র ও চেক তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে ভবিষ্যতে যেন আরো বেশি করে পদক দেয়া সম্ভব হয়, সেজন্য সকলকে আন্তরিতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করে যান এবং আপনাদের পরবর্তীতে যারা আসবে তারাও যেন আপনাদের পদাংক অনুসরণ করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে এবং চলমান বিশ্বের সঙ্গে তাল রেখে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার পথে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply