fbpx

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবেন না আফগান নারীরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন থেকে আর কোনো নারী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নারীরা প্রবেশ করতে পারবে না বলেও জানিয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আফগান তালেবান শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে একটি চিঠি ইস্যু করেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠিতে জানিয়েছে, তাদের এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক কার্যকর করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা দখল করে তালেবান। প্রথমে মেয়েদের হাইস্কুলে যাওয়া বন্ধ করে তারা। এরপর বন্ধ করে পার্কে যাওয়া। সবশেষ তারা নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ ঘোষণা করলো।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র তিন মাস আগে আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। সে সময় নারীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে ওই সময় জানিয়ে দেওয়া হয়, নারীরা উদ্ভিদ বিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিং, অর্থনীতি এবং কৃষি বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবে না। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, কোনো নারী সাংবাদিকতা পড়ার সুযোগ পাবে না।

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ও পুরুষদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করে। এছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের শুধু নারী ও বৃদ্ধ প্রফেসররা ক্লাস নিতে পারবে, এমন নিয়মও জারি করে তালেবান সরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ও শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে পরিচয় গোপন রেখে এক শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘তালেবান নারী ও তাদের শক্তিকে ভয় পায়। ভবিষ্যতের সঙ্গে আমার সংযোগ তৈরিকারী একমাত্র ব্রিজটি তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাব? আমার বিশ্বাস ছিল আমি পড়ালেখা করে আমার ভবিষ্যৎ পরিবর্তন বা আমার জীবনে আলো আনতে পারব। কিন্তু তারা সব ধ্বংস করে দিল।’

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নতুন এ ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেছেন, ‘তালেবানরা সব আফগানদের অধিকার, বিশেষ করে মানবাধিকার এবং নারী ও মেয়েদের মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান না করা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে পারে না।’

জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেছেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে দেশটিতে নারীদের অধিকার আরও কমিয়ে দেওয়া হলো এবং প্রতিটি নারী শিক্ষার্থীর জন্য এটা গভীর হতাশার বিষয়।’

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘মঙ্গলবারের এ ঘোষণা স্পষ্টতই তালেবানদের আরেকটি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply