আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে পরপর কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাত জন নিহত এবং নারী-শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তালেবান সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
তালেবান সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদে তালেবানের গাড়ি লক্ষ্য করে পরপর চারটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। সে সময় নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তালেবানের এক নেতা এ তথ্য জানান।
তালেবানের ওই শীর্ষ নেতা আরও জানান, হামলার ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে এবং হামলাকারীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, কাবুলে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত দুই জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদিও কোনো গোষ্ঠী এখনো এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে, নানগারহারে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শক্ত অবস্থা রয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি, সন্দেহের তীর তাদের দিকেই।
তালেবানের এক সূত্র জানিয়েছে, এ হামলার পেছনে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান শাখার হাত থাকতে পারে। হামলার পরপরই সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে জালালাবাদ থেকে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয় পুরো দেশে। লোকজন ভয় আর আতঙ্কে দেশ ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করতে শুরু করেন। সে সময় বিমানবন্দর এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে এবং গোলাগুলিতে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে, গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় আরও ১৭৫ জনের। সে সময় আহত হন দেড়শ’রও বেশি মানুষ। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-কে।