fbpx

আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী মারা গেছেন। আজ ১৯ মে (বৃহস্পতিবার) লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় ৬টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৯৭৪ সালের অক্টোবর থে‌কে ব্রিটে‌নে বসবাস করে আসছিলেন গাফফার চৌধুরী। বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রো‌গে আক্রান্ত হ‌য়ে বেশ কিছু‌দিন ধ‌রে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে তার লেখা কালজয়ী গান, “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”।

পেশায় তিনি একজন সাংবাদিক হলেও পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন।

আবদুল গাফফার চৌধুরীর ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশী’সহ তার প্রায় ৩০টি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে। এছাড়া তার লেখা কয়েকটি নাটকের মধ্যে রয়েছে, ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘একজন তাহমিনা’  ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’।

আবদুল গাফফার চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রথম জীবনে ১৯৫০ সালে ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় কাজের মধ্যে দিয়ে সাংবাদিকতায় তার কর্মজীবন শুরু হয়।

এরপর দিলরুবা, মেঘনা, ইত্তেফাক, আজাদ, জেহাদ ও পূর্বদেশসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন বরেণ্য এই সাংবাদিক।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলায় লেখালেখি করেন।  বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তিনি দৈনিক জনপদ বের করেন।

১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান আবদুল গাফফার চৌধুরী। দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে প্রথমে কলকাতা নিয়ে যান। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় তাকে নিয়ে ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে যান। সেই থেকে তার প্রবাসজীবন শুরু।

আবদুল গাফফার চৌধুরী স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পদক, ইউনেস্কো পদক, বঙ্গবন্ধু পুরস্কারসহ জাতীয় আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার লাভ করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply