করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিল্প-কারখানার মালিকদের অনুরোধে রপ্তানিমুখী সব পোশাক কারখানা রবিবার ১ (আগস্ট) থেকে খুলে দেবার ঘোষণা দেয় সরকার। এ ঘোষণার পর কঠোর লকডাউনের মধ্যেই চাকরি বাঁচাতে ৩০ জুলাই শুক্রবার রাতেই ঢাকা ফিরতে শুরু করে হাজার হাজার পোশাক কারখানার শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টরা।
রাস্তায় গাড়ি চলাচল না থাকায় ভোগান্তিতে পরেন হাজার হাজার শ্রমজিবী মানুষ। এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে তাদের নিরাপদে কর্মস্থলে ফেরার সুযোগ দিতে সরকার শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়। ভিড় থাকায় পরে রবিবার ১২টায় লঞ্চ বন্ধ না করে চালু রাখার ঘোষণা দেয় সরকার। ৩৮ ঘণ্টা চালু থাকার পর সোমবার ২ (আগস্ট) সকাল ১০টায় আবার লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত সরকারি যে ঘোষণা রয়েছে, তাতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
২ আগস্ট (সোমবার) সকাল থেকে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ কিছুটা কমতে দেখা গেছে। আর আজ সকাল ১০টা থাকে আবার লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে লঞ্চ চলাচলে অনুমতি দেওয়ায় অনেকটা সস্থিতে ঢাকায় আসতে পেরেছেন যাত্রীরা।
এদিকে দেড় দিন লঞ্চ চলার পর সোমবার সকাল ১০টা থেকে ফের বন্ধ হয়ে গেছে নৌযান। গত দেড় দিনে আশানুরূপ যাত্রী পাইনি বলে জানান বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি। তবে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ৫ আগস্ট পর্যন্ত লঞ্চ বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান তারা।
৩৮ ঘণ্টা শেষে সোমবার সকাল ১০টা থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার ও অন্যান্য) চলাচল বন্ধ থাকবে।