fbpx

আমাকে কান ধরে উঠবস করানোর উনি কে? অনন্ত জলিলকে অনন্য মামুন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কেউ বলেন ভালো সিনেমা নির্মানের জন্য বাজেট গুরুত্বপূর্ণ, কেউ আবার তা মানতে নারাজ, তাদের মতে বাজেট নয়, দরকার ভালো গল্প।

এই ঈদে মুক্তি পাচ্ছে অনন্ত জলিলের ১০০ কোটি টাকার সিনেমা দিন, দ্য ডে…অনন্ত জলিলের মতে, এটা বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মাইলস্টোন, অন্য নির্মাতারা সেটা মানবেন না কিছুতেই। বাজেটে কিছু আসে যায় না, ভালো গল্পের সিনেমা দেখতেই হলে যায় দর্শক, এমনটাই মনে করেন কেউ কেউ।

তরুন নির্মাতা অনন্য মামুন মনে করেন বাজেট নয়, গল্প গুরুত্বপূর্ণ! কিন্তু তার কথা মানবেন না অনন্ত জলিল। এমনকি দেশের একটি গণমধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথার ভিত্তি ধরে অনন্য মামুনকে কান ধরে উঠবস করাতে চেয়েছেন অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্ত জলিল।

এই বিষয়ে অনন্য মামুন বলেন, ‘আমি কখনও অনন্ত জলিল ভাইকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলিনি। উনি ১০০ কোটি টাকা দিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন, বানাতেই পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র বাজেট দিয়ে তো সিনেমার নাম নির্ধারণ হতে পারে না। আমি এটাই বলেছি। য়ার উনি আমাকে কান ধরে উঠবোস করানোর কে? আমি ওনার চাকরি করি নাকি রক্তের সম্পর্কের কেউ যে এই কথা বলতে পারেন? আর উনি বলেছেন উনি আমাকে ডিরেক্টর বানিয়েছেন। আমার সেই যোগ্যতা ছিলো বলেই আমাকে উবি সুযোগ দিয়েছিলেন।’

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনন্য মামুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি বিষয়টি ক্লিয়ার করেছেন, দিয়েছেন চমকপ্রদ কিছু তথ্য!

পোস্টে এই নির্মাতা লেখেন, ‘অনেক চুপ ছিলাম দেখলাম চুপ থাকা মানে মিথ্যাটাকে অন্যায় হিসাবে মেনে নেয়া। সত্যটা বলা দরকার অনন্ত সাহেবের সাথে আমার পরিচয় ২০১০ সালের দিকে। আমি তখন কোলকাতায় রেগুলার গল্প লেখক হিসাবে Eskay movies এর সাথে কাজ করি। স্পেলাশ ম্যাগাজিনের বাবুর সাথে আমার আগে থেকেই চেনাজানা ছিলো। বাবু আমাকে হোটেলে ঢাকলো, অনন্ত ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলো। বাংলাদেশের ছেলে কোলকাতাকে কাজ করে শুনে উনি অনেক খুশি। আমি ল্যাপটপে গল্প লিখি ব্যাপার টা উনার মনে ধরে। বললো দেশে এসে আমার সাথে মিট করবেন। অনন্ত ভাইয়ের একটা ভালো গুন আছে উনি ছোট বড় সবাইকে আপনি করে বলে। এর মধ্যে শুনি পরিচালক সোহান ভাইয়ের সাথে আমার জুটি হিট। আমার দেয়া সব গুলো গল্প হিট। কথা দাও সাথী হবে, আমার জান আমার গান, পরাণ যায় জ্বলিয়ারে, কোটি টাকার প্রেম, সে আমার মন কেড়েছে, এক মন এক প্রান। সোহান ভাই অনন্ত ভাইয়ের সিনেমা দ্যা স্পীড লিখার জন্য অনন্ত ভাইয়ের অফিসে নিয়ে গেলেন। তার সাথে আমার দ্বিতীয় দেখা। এরপর তার সাথে আমার কাজ শুরু হলো। আমার কাজের দক্ষতা দেখে অনন্ত ভাই বললেন, আমাকে শুটিং এ থাকতে হবে। আমি এত কিছু ম্যানেজ করতে পারবো না। শুটিং এর প্যান অনন্ত ভাইয়ের সাথে থেকে আমি শুরু করলাম। ক্যামেরা লোকেশন শিল্পী সব কিছু। তখন থেকেই আমি সোহান ভাইয়ের চোখে ভিলেন হয়ে গেলাম। সবাই শুটিং শেষ করে দেখে ফেরে। আমি আর অনন্ত ভাইয়ের অফিসের লোক ব্রুসলী ১ সপ্তাহ পরে ফিরে আসি। কারণ তখন নেগেটিভে শুটিং হতো। টেলিসিনিং করে ফাইট এডিট করে আমি দেশে ব্যাক করি। মজার ব্যাপার হলো অনন্ত ভাইয়ের সিনেমার খরচ তার অফিসের লোক দেখা শুনা করে। পরিচালক বা অন্য কারও হাতে টাকা দেয়া হয় না। মালয়েশিয়া হিসাবে তার লোক ২৩ লাখ টাকা বেশি দিয়ে আসে, আমি পরে হিসাব বের করে তাকে টাকা টা ব্যাক করে দেই। সেদিন উনি বলেছিলেন আপনি আমার ছোট ভাই। দ্যা স্পিড সিনেমার সব প্রোস্ট প্রোডাকশনের কাজ আমি চেন্নাই থেকে করে নিয়ে আসি। অবশ্যই তার জন্য অনন্ত ভাই আমাকে সম্মানী দিয়েছেন। দ্যা স্পিড সিনেমার পরে অনন্ত ভাই বললেন, মামুন আপনি এত কিছু পারেন এবাবের সিনেমাটা আপনি বানান। সিনেমার মানুষ হিসাবে এটা আমার স্বপ্ন ছিলো, সেটা পুরণ হলো। আমাকে ১ লক্ষ টাকা সাইনং মানি দিলেন। সম্পূর্ণ সিমেমার জন্য ৫ লাখ টাকা সত্যি একজন নতুন পরিচালক হিসাবে এটা অনেক টাকা। আমি পরিচালক সমিতিতে সেখান থেকে ৫৬ হাজার ফ্রী জমা দিয়ে সদস্য পদ নিলাম। এখন আপনারা বলেন তো টাকা টা কার আমার নাকি অনন্ত ভাইয়ের? আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞতা জানাই অনন্ত ভাইকে আমাকে তার সিনেমায় প্রথম পরিচালক হিসাবে সুযোগদের জন্য। শুটিং আমার সাথে প্রথম ঝামেলা শুরু হয় মুম্বাইয়ের হিরোইন সেনহা উল্লাহ্ নিয়ার পর থেকে। অনন্ত ভাইয়ের সাথে বষা ম্যাডামের সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিলো। অনন্ত ভাই বাইরের হিরোইনকে নিয়ে কাজ করবে বষা করতে দিবে না। ফাইনালী তাদের সম্পর্ক ঠিক হলো, আমি ভিলেন হয়ে গেলাম। শেষ হলো মোস্ট ওয়েলকাম সিনেমা। এবং এখন অবধি মুনসুন ফিল্মসের সব চাইতে বড় হিট সিনেমা। তারপর লোকজনের মুখে শুনতে শুরু করলাম, আমি নাকি মোস্ট ওয়েলকাম সিনেমার টাকা মেরে উত্তরাতে ৬ তলা বাড়ি বানিয়েছি। এক দিন সরাসরি অনন্ত ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই উত্তরাতে ৬ তলা বাড়ি বানাতে কত টাকা লাগে আপনি ভালো করেই জানেন মোস্ট ওয়েলকাম সিনেমার বাজেট ৩ কোটি ২ লাখ টাকা। আমি সব টাকা মেরে দিলেও কি জায়গা কিনে উত্তরাতে বাড়ি বানানো সম্ভব। উনি তিনি জবাব দিতে পারেন নাই। কারণ উনি জানতেন উনার অফিসে কাউকে সরাসরি টাকা দেয়া হয় না, সব খরচ তার একাউন্ট দেখে। এবার আসি মোস্ট ওয়েলকাম -২ সিনেমার দেশের বাইরের সব শুটিং আমি পরিচালনা করেছি, নাজিম শাহরিয়ার জয়, মিশা ভাই, ডন ভাই উনারা ব্যাপার টা ভালো করেই জানেন। দেশে আমার পর যখন কথায় কথায় একদিন অনন্ত ভাই আমার বাবা মাকে জড়িয়ে একটা গালি দেয় ঐ দিন থেকে চলে এসেছি। আপনার পাশের লোকজন টাকার জন্য আপনাকে হুজুর হুজুর করতে পারে আমি না। আপনার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প গুলো না বলি, কারণ আমি আপনাকে সম্মান করি। মানুষকে সম্মান করা পারিবারিক শিক্ষা। পরিশেষে একটা কথাই বলি, এবার ঈদ তিনটা সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে সব গুলোই সিনেমা।।।। কোনটা ভালো কোন টা খারাপ এটা বলার জন্য পাবলিক আছে। আপনি দেশের সিআইপি আপনার ব্যবহার দেখে আমরা শিখবো, ভবিষ্যৎ এ সিআইপি হবার স্বপ্ন দেখবো..দয়া করে সেই জায়গা টা নষ্ট করবেন না।‘

https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/410354901070518

Advertisement
Share.

Leave A Reply