fbpx

আমাকে ঠেকায় সাধ্য কার: শাকিব খান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

১৯৯৯ থেকে ২০২৩…টানা দুই দশক…এ এক লম্বা সময়, এই সময়ে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি বলতেই শাকিব খান…শুরু হয়েছিলো অনন্ত ভালোবাসা দিয়ে, শেষ সিনেমা লিডার, আমিই বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারে পূর্ণ করেছেন ২৪ বছর…আলোচনা, সমালোচনা…সবকিছু নিয়েই খান সাহেব পার করেছেন ক্যারিয়ারের একটু একটু সময়। আছেন এখনও ঢালিউড নায়কদের শীর্ষে।

সিনেমার জগত তো বটেই, ব্যক্তিজীবন নিয়ে সমালোচনা ধেয়ে এসেছে অনবরত, সেটা স্মার্টলিই হ্যান্ডেল করেছেন একটা সময় পর্যন্ত কিংবা সমালচনার তোয়াক্কা করেননি। পিছু হটেননি কিংবা কাজের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ করেননি।

তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। চলচ্চিত্রে আসার পরই রানা থেকে হয়ে ওঠেন শাকিব। নারায়ণগঞ্জ থেকে এফডিসি, এফডিসি থেকে কাকরাইল, পরিচালকদের দুয়ারে দুয়ারে হানা- সবই করেছেন। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ তিনি ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক।

মান্নার ম্ররত্যুর পর যখন ঢালিউড সিনেমা নায়ক সংকটে ধুকছে, ঠিক সেই সময়ই শাকিব হয়ে উঠেন পরিচালকদের তুরুপের তাস। ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন অপ্রতিরোধ্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

বিজ্ঞান নিয়ে পড়া ছাত্র শাকিব হতে চেয়েছিলেন আর দশটা সাধারণ মানুষের মত ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু নিয়তি যার অভিনেতা হওয়া, তা কয়ে রুখতে পারে!

১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অনন্ত ভালোবাসা’। এই ২৪ যুগ পার করে শাকিব আসুলে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবেন? দেশের একটি গণমাধুমকে এই অভিনেতা বলেন, ‘চলচ্চিত্রে ২৪ বছর পার করলাম। অথচ আমার তো মনে হয় সেদিন চলচ্চিত্রে এলাম। আফতাব খান টুলু ভাইয়ের ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ ছবির মাধ্যমে প্রথম সেদিনই তো  ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। অথচ ২৪ বছর! সময় আসলেই কারও জন্য অপেক্ষা করে না। সে তার নিজ গতিতেই চলে। আমাদের কত সময় বয়ে গেল। তবে আমি সন্তুষ্ট। আমার মনে হয় আমি সময়টাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। সেটা কিছুটা হলেও পেরেছি। আমার দর্শকরা যেভাবে চেয়েছেন তাদের হিরোকে দেখতে, সেভাবে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করে গেছি। এখনও করছি।’

আপনার কাছে সাফল্যের মূলমন্ত্র কী? এই প্রশ্নে শাকিব বলেন, ‘কোনো মূলমন্ত্র নেই। তবে একজন  হিরোর সাফল্যের মূলমন্ত্র কিন্তু দর্শকদের ভালোবাসা। নায়ক যদি দর্শকদের চাওয়া-পাওয়ার মূল্য দেয়, তাহলে দর্শকদের কাছে সে গ্রহণযোগ্যতা পায়। সাফল্যও আসে।’

একজন নায়ক বা অভিনেতা তার ভক্তদের আইডল অবশ্যই। কিন্তু শাকিবও তো রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। আর দশটা মানুষের মত তিনিও ভুল কইরবেরন, আবার সেসব ভুল থেকেও শিখবেন। বলা যায়, গত ১০ বছর তাঁর কাজ নিয়ে যতটা আলোচিত তার চেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন ব্যক্তিজীবন নিয়ে।

অপু-বুবলীর সঙ্গে প্রেম, বিয়ে, সন্তান, ডিভোর্স, বারবার বয়কটের শিকার, মানহানি মামলা নিয়ে থানা-পুলিশ ইত্যাদি নিয়ে খারাপ সময়ের ভেতর দিয়ে গেছেন অনবরত। আবার সেসব ট্যাকেল দিয়ে উতরেও গেছেন ঠিক। আবারও মন দিয়েছেন কাজে, করছেন টানা শুটিং।

ইন্ডাস্ট্রির মানুষের রোষের মুখে পড়েছেন, তাকে সরাতে একটা মহল উঠেপড়ে লেগেছে বিভিন্ন সময়, কিভাবে দেখেন এসব বভিষয়কে? শাকিব বলেন, ‘আমার দুই যুগের ক্যারিয়ারে এত কিছু দেখেছি যে, এখন কোনো কিছুতে অবাক হই না। সবকিছুর জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকি। আর আমি তো আছি। থাকব। যতক্ষণ দর্শকের অন্তরে আছি আমাকে ঠেকায় সাধ্য কার? আমার শিকড় ইন্ডাস্ট্রি এবং দর্শকের অন্তরে গাঁথা আছে। সেটা কি রোখা যাবে?’

না, শাকিব আসলে যে ইমেজ তৈরি করেছেন বাংলা সিনেমার দর্শকের হৃদয়ে, সেটা তো রোখা যাবেই না, তিনি যুগ যুগ ধরে থেকে যাবেন বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে।

https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/786895642838081

Advertisement
Share.

Leave A Reply