রাজধানীসহ সারা দেশে লোডশেডিংয়ের কারণে জীবনযাত্রা অনেকটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শহরের তুলনায় দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠিকে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। দেশ জুড়ে তীব্র তাপদাহের সাথে সাথে বেড়েছে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ।
বর্তমানে দেশে প্রায় ১৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। চলমান বিদ্যুৎবিভ্রাট নিরসনে আরও ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধীনে নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা ল্যাবরেটরি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকে এ সব তথ্য জানিয়েছেন নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন হলো আমাদের একটা হাব বন্ধ হয়েছে, দ্বিতীয় হাবটিও (পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র) ৫ তারিখে বন্ধ হয়ে যাবে। কয়লার অভাবেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। কয়লার নতুন চালান আসতে অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন লেগে যাবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, এলসি খুলতে দেরি হওয়ায় এমনটা হয়েছে। তাই আমরা বিদ্যুতের একটা বড় অংশ সিস্টেমে পাচ্ছি না। বর্তমানে প্রায় ১৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে। তেল আনার ব্যাপারেও রীতিমত হিমশিম খাচ্ছি।
তবে কয়লার নতুন চালন আসলেই লোডশেডিং কমবে বলে মনে করেন তিনি। দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহের মধ্যে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় যে জনদুর্ভোগ বেড়েছে সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।