fbpx

আরটিপিসিআর কিট তৈরি করেছে বাংলাদেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রথমবারের মতো দেশে করোনা শনাক্তে আরটিপিসিআর কিট তৈরি করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। সাশ্রয়ী মূল্যের এ কিট ব্যবহারে সন্দেহজনক ব্যক্তি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা জানা যাবে। আর এ জন্য খরচ করতে হবে মাত্র ২৫০ টাকায়। অর্থাৎ বিসিএসআইআরের উদ্ভাবিত নতুন এ কিটে করোনা পরীক্ষা হবে মাত্র ২৫০ টাকায়।

আজ ৭ আগস্ট রোববার সায়েন্সল্যাবে প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিসিএসআইআর কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা শনাক্তে বর্তমানে কিউআরটি- পিসিআর কিট ব্যবহৃত হচ্ছে তা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। প্রতিটি পরীক্ষায় ব্যয় হয় আনুমানিক তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা।বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ বিপুল সংখ্যক শনাক্তকরণ কিট সম্পূর্ণই আমদানি করতে হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। তবে তাদের উদ্ভাবিত নতুন এ কিটের মাধ্যমে নামমাত্র খরচে করোনা শনাক্ত করা যাবে। কিটটি বাজারে এলে এর দাম পড়বে ২৫০ টাকা। দেশীয় এ কিট দিয়ে ৪-৫ ঘণ্টায় করোনার প্রাথমিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাবে। এরই মধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই কিট উৎপাদনে অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া নৈতিক সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল গবেষণা পরিষদ।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোনা রোগীদের জন্য বিসিএসআইআর’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় কিটটি উদ্ভাবিত হয়েছে। যা একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি। অন্যান্য আমদানি করা কিটের তুলনায় বেশি কার্যকরী এই কিট। এর মাধ্যমে একেবারেই ন্যূনতম সংখ্যক ভাইরাসকেও শনাক্ত করা যাবে। ফলে রোগের উপসর্গ প্রকাশের আগেই জানা যাবে ভাইরাসের উপস্থিতি।

সংবাদ সম্মলনে আরো জানানো হয়, কভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য প্রাইমার এবং প্রোবের টার্গেট সিকুয়েন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের অন্যান্য বাণিজ্যিক কিটে এস, এন, ওআেএফ১এবি জিন ব্যবহার করা হয়। এসব জিনের মধ্যে সহজে মিউটেশন ঘটে। ফলে ভুল রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু তাদের উদ্ভাবিত নতুন এ কিটের এম জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এ জিনটিতে অন্যান্য জিনের মতো মিউটেশন ঘটার প্রবণতা কম। তাই এ কিটে ভুল রিপোর্টের খুব একটা সম্ভাবনা থাকে না। এ কিটের জন্য টার্গেটকৃত প্রাইমার ও প্রোব বিসিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীরা নিজস্ব গবেষণাগারে ডিজাইন করেছেন। তাই এ কিটটি অন্য বাণিজ্যিক কিটের তুলনায় স্বতন্ত্র বলে দাবি করে বিসিএসআইআর।

Advertisement
Share.

Leave A Reply