fbpx

আলেশা মার্টের আড়াই হাজার গ্রাহক ফেরত পাচ্ছেন ৪২ কোটি টাকা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কিউকমের পর এবার টাকা ফেরত পাচ্ছেন আলেশা মার্টের গ্রাহকরা। প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহককে মোট ৪২ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ১০ জন গ্রাহকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটি শুরু হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। গ্রাহকদের এই টাকা এসএসএল কমার্স নামক পেমেন্ট গেটওয়ের (পরিশোধ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) কাছে এত দিন আটকে ছিল বলেও মন্ত্রেণালয় থেকে জানা গেছে।

গ্রাহকরা আলেশা মার্ট থেকে পণ্য কিনতে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েছিলেন। সেগুলো জমা ছিল এসএসএল কমার্সের হিসাবে।

এই টাকাগুলো জমা দেওয়া হয়েছিল ২০২১ সালের ৩০ জুনের পরে। তখন ই-কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ওই দিনের পর থেকে পণ্য সরবরাহ করার আগপর্যন্ত আলেশা মার্ট কোনো টাকা পাবে না। আর সে কারণেই আটকে ছিল টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলেশা মার্ট, পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান এসএসএল কমার্স ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য নিয়ে দেখেছে, গ্রাহকেরা ৪২ কোটি টাকা পরিশোধ করলেও তা আলেশা মার্টের ব্যাংক হিসাবে ঢোকেনি।

কিন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে আলেশা মার্টের ৫৬টি হিসাব রয়েছে। গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আলেশা মার্টের ওই হিসাবগুলোতে গ্রাহকেরা প্রায় ২ হাজার ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জমা করেছেন। এর মধ্যে আলেশা মার্ট ১ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, আলেশা মার্টের কাছে গ্রাহকদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আটকে ছিল। এর মধ্যে ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ৪২ কোটি টাকা দেওয়ার পর যে টাকা বাকি থাকবে তা-ও ফেরত দেবে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এর আগে গত ২ ডিসেম্বর সরকারের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকার চলতি মূলধন সহায়তা চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে আলেশা মার্ট। সেখানে তিন হাজার শতাংশ জমি বন্ধক রাখাসহ প্রয়োজনীয় জামানত প্রদানের আশ্বাস দিয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা ৫০ হাজার এবং অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে আট লাখ ক্রয়াদেশ পেয়ে থাকে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply