fbpx

আসুন জেনে নিই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কী?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্ব জুড়েই চলছে করোনা আতঙ্ক। তার মধ্যে ভারতে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক রুপ নিয়েছে। এরইমধ্যে দেশটিতে ছড়িয়েছে ছত্রাকজনিত বিরল রোগ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।

এ নিয়ে উদ্বেগে আছে বাংলাদেশেও। প্রথমবারের মতো দুজনের শরীরে এই রোগ শনাক্ত হয়েছে দেশে। এছাড়া এই ফাঙ্গাসে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন ডাক্তাররা।

ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামক এই ছত্রাক, এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ সম্পর্কে অনেকের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। যার কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

প্রশ্ন রয়েছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি ছোঁয়াচে? এটা কি একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায়?

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কোন সংক্রামক নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণঝুঁকি বাড়ে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ ডায়াবেটিক অথবা স্টেরয়েড নেওয়া রোগী।

এবার আসুন জেনে নিই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কী? আর এটা কি ছোঁয়াচে?

বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রামক নয়। কিন্তু বাতাসে ভেসে থাকা ফাঙ্গাল স্পোরের মাধ্যমে এই ফাঙ্গাস ছড়াতে পারে। সাধারণত মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে। কিন্তু শরীরে বিদ্যমান রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার কারণে এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে না। কিন্তু যখন শরীরে অনিয়ন্ত্রিত স্টেরয়েড প্রয়োগ করা হয়, ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয় বা কোনো ব্যক্তি যখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে, শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস বিস্তার লাভ করার সুযোগ পায়।

চিকিৎসকেরা এ নিয়ে আতঙ্ককিত না হয়ে, দিয়েছেন বেশ কিছু সতর্কবার্তা । যেমন, মুখমণ্ডলের কোনো অংশ ফুলে যাওয়া বা ব্যথা, একটানা মাথাব্যথা, নাক বন্ধ থাকা এবং চোখের যেকোনো সমস্যা হলে এ নিয়ে এখন হেলা না করে । দ্রুততম সময়ে এই ফাঙ্গাস চিহ্নিত করা সম্ভব হলে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যায় এবং এতে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও বাড়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

ভারতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জনের দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ২১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply