fbpx

আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বুরহানের মৃত্যু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন ওরফে মোজাক্কির (২৫) মারা গেছেন। সাংবাদিক বুরহান দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের নোয়াখালী প্রতিনিধি ছিলেন।

শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বুরহানের মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেন তার বড় ভাই মো. ফখরুদ্দিন। ঢাকা মেডিকেল থেকে শনিবার রাত সোয়া ১১টায় মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১১টার দিকে আমার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।’

নোয়খালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রাত সাড়ে ১১টায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বুরহানের মৃত্যুর খবর কোম্পানীগঞ্জে পৌঁছার পর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। দুই পক্ষই বুরহানকে নিজেদের লোক বলে দাবি করছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ওরফে বাদলের নেতৃত্বে চাপরাশিরহাট বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চাপরাশিরহাট মধ্যবাজারে গেলে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকেরা মিছিলে হামলা চালান। এ সময় পুলিশ ধাওয়া ও ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর একদল সমর্থক চাপরাশিরহাট এলাকায় যান এবং বাজারসংলগ্ন মিজানুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও চিত্র ধারণকালে সাংবাদিক বুরহান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন।

সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান দাবি করেছেন, বুরহান সাংবাদিক হলেও তিনি তার অনুসারী ছিলেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সংবাদমাধ্যম আরও জানায়, এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কাদের মির্জার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply