fbpx

ইতিহাস বিকৃতকারী কাকে রেখে কার বিচার করব, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্বাধীনতা ইতিহাস ‘৭৫ এর পর বিকৃতি শুরু হয়। জাতির পিতাকে হত্যাকারী ও ক্ষমতা দখলকারীরা এই বিকৃতি শুরু করে। ধারাবাহিকভাবে তা ২১ বছর চলতে থাকে। ইতিহাস বিকৃতকারী কাকে রেখে কার বিচার করব?

বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পাার্টির পীর ফজলুর রহমান সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জাতীয় পাার্টির পীর ফজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিচারের আওতায় আনতে আইন প্রণয়ন করবেন কী না তা জানতে চান।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা ইতিহাস ‘৭৫ এর পর বিকৃতি শুরু হয়। জাতির পিতাকে হত্যাকারী ও ক্ষমতা দখলকারীরা এই বিকৃতি শুরু করে। ধারাবাহিকভাবে তা ২১ বছর চলতে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি ঠিক ৯৬ এর আগে যাই। তাহলে কাকে রেখে কার বিচার করব। এটা হলো বাস্তবতা। আমি দেখি ৭৫ এর পর যারাই ছিলেন। এমন কি যারা সত্য কথাটাও জানতেন তারাও মিথ্যার ওপর আশ্রয় নিয়েছিলেন। এটা হচ্ছে দুর্ভাগ্য। খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষ এর প্রতিবাদ করেছেন বা সঠিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। এদের বিচার করতে গেলে তো কাকে রেখে কাকে বিচার করব সেটা একটা প্রশ্ন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ইতিহাস বিকৃত করেছে ইতিহাসই তাদের বিচার করে দিয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। যারা ইতিহাস বিকৃত করেছে তাদের চরিত্রটা মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়েছে। কত জঘন্য কাজ তারা করে গেছে।’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সততা নিয়ে কাজ করলে কেন ব্যর্থ হতে হবে ? সফলতা কী, ব্যর্থতা কী এটা যাচাই করবে জনগণ। এটা যাচাই আমার দায়িত্ব না। সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে কাজ করলে ব্যর্থ হব কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটা জনগণই করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় সদস্যের যখন এতই আগ্রহ তাহলে আমার ব্যর্থতাগুলো আপনিই খুঁজে বের করে দিন, আমি সংশোধন করে নেব।’

এর আগে ফখরুল তার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার ব্যর্থতা জানতে চান।

Advertisement
Share.

Leave A Reply