fbpx

ইথিওপিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক চাপ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

টাইগ্রেতে লড়াই বন্ধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় ইথিওপিয়ার যুদ্ধরত দলগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ জোরদার করা হয়েছে।

গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ক্ষমতাসীন পার্টির অনুগত বাহিনীর সঙ্গে ইথিওপীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। এর ফলে শরণার্থীর ঢল নেমেছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অত্যাচার এবং আশে পাশের দেশ গুলোর সীমান্তে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।

গত বছরের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ রোববার টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে(টিএফএলএফ) আত্মসমর্পণের জন্যে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু ভিন্নমতাবলম্বী আঞ্চলিক ওই দলের নেতা আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করে বলেছেন, তার বাহিনী প্রয়োজনে মরতে প্রস্তুত।
এদিকে বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হয়ে আসার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের নিরাপত্তা বাহিনী এ সংকট নিয়ে তাদের প্রথম বৈঠক করেছে। বৈঠকটি রুদ্ধদ্বার কক্ষে হবে কিনা এ নিয়ে ইউরোপীয় ও আফ্রিকান নেতৃবৃন্দের মধ্যে মতানৈক্যের মধ্যেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান মিশেলে বাচেলেট বলেছেন, উভয় পক্ষের আগ্রাসী অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে ঝুঁকিতে ও আতংকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের জন্যে ভয়ংকর বিপদ তৈরি হয়েছে।

অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মেকেলের ৫০ লাখ বাসিন্দাকে রক্ষায় শহরটির ওপর কামান এবং বোমা হামলা না চালাতে ইথিওপিয়ার প্রতিআহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে দেশটির সরকার মঙ্গলবার বলেছে, টাইগ্রে মিলিশিয়া এবং বিশেষ বাহিনীর অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর আলটিমেটাম মেনে আত্মসমর্পণ করেছে।

কিন্তু টাইগ্রেতে যোগাযোগ না থাকায় এবং সংবাদ কর্মীদের ঢুকতে না দেয়ায় নিরপেক্ষভাবে কোন পক্ষের দাবি যাচাই করা সম্ভব হচ্ছেনা।

এদিকে টাইগ্রেতে সংঘর্ষের কারণে ইতোমধ্যে ৪০ হাজার লোক সুদানে আশ্রয় নিয়েছে এবং আরো অনেকে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া শতশত লোককে হত্যা করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন মঙ্গলবার বলেছে, গত ৯ নভেম্বর মাই-কাদরা শহওে অন্তত ৬শ’ লোককে হত্যা করা হয়েছে। যদিও আঞ্চলিক নেতারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

উল্লেখ্য, ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন সরকার নিযুক্ত হলেও এটি একটি স্বাধীন সংস্থা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply