এখন থেকে ইন্টারনেট ছাড়াই ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে পারবেন গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা। গ্রামীণফোন গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে তাই মেটার সঙ্গে পার্টনারশিপে টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার অ্যাপ চালু করেছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ‘টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার অ্যাপ’ উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং মেটা ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা।
এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রামীণফোন গ্রাহকরা তাদের ডাটা শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তী ব্যালেন্স রিচার্জ করার আগ পর্যন্ত টেক্সট-ওনলি সংস্করণে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে পারবেন।
আর ‘ডিসকভার’ অ্যাপ গ্রাহকদের ১৫ মেগাবাইট ডেইলি ব্যাল্যান্সের মাধ্যমে কোনো ডেটা চার্জ ছাড়াই ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুযোগ করে দেবে। এছাড়া লো-ব্যান্ডউইথ ফিচার যেমন: ফ্রি ডেটা দিয়ে বার্তা ও আইকন দেখতে পারবেন। এর মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চাকরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ের সঙ্গে সবসময় যুক্ত থাকতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন,‘ইন্টারনেট ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার একটি অসাধারণ উদ্যোগ। প্রান্তিক জনগণের তথ্য আদান প্রদান এবং কালেকটিভিটি নিশ্চিত করে ডিজিটাল ডিভাইড কমাতে এটি সহায়তা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেখেছি, করোনার সময় মোবাইল সেবাদাতারা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যের বাইরে এসে সম্মিলিতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কানেকটিভিটি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক কার্যক্রম চালু রাখতে সহায়তা করছে।’
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যতম বড় ফেসবুক ইউজার বেসের প্রয়োজনীয়তা পূরণে একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাতেই মেটা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ-আজকের এই উন্মোচন।
তিনি আরও বলেন, ডেটা ছাড়াই এই যুগে সবাই যাতে তথ্য জানার সুযোগ পায়, আমাদের এমন একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মেটার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অপারেটর পার্টনারশিপের ডিরেক্টর পল কিম বলেন, ‘মানুষকে কানেক্টেড থাকতে সাহায্য করা এবং ইন্টারনেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্সে তাদের ধারাবাহিক অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরও উন্নত কানেক্টিভিটি এবং অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই প্রোগ্রামগুলোতে অবদান রাখতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।’