আগামী ছয় মাস গ্রাহকরা পাওনা অর্থ ফেরতের আশায় ইভ্যালির নতুন পরিচালনা পর্ষদকে চাপ দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আদালত ইভ্যালির গ্রাহক ও পাওনাদারদেরকে এমন নির্দেশনা দিয়ে আদেশের অনুলিপি প্রকাশ করেছে। তবে কোনো গ্রাহক চাইলে পাওনার কথা বোর্ডের কাছে বা আদালতকে জানাতে পারবে।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে ইভ্যালির ব্যবসা পরিচালনা করতে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেয়। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সেই কমিটির প্রধান করা হয়।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশ করা হয়। আদালত বলেছেন, নতুন পর্ষদের কাছে গ্রাহক বা পাওনাদারেরা ছয় মাস টাকা চেয়ে পীড়াপীড়ি না করেন। তবে সমস্যা নিয়ে গ্রাহক ও পাওনাদারেরা ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারবেন।
আদেশে আরও বলা হয়, ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি, অর্থ, ডিবেঞ্চার, শেয়ার, গাড়ি, চাবি, নথিপত্র, যন্ত্রপাতিসহ সব ধরনের সম্পদ আদালতের নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে হস্তান্তর করবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনায় বলা হয়, ইভ্যালির ব্যবসা বা লেনদেনের সূত্রে উদ্ভূত ফৌজদারি মামলা আইন অনুসারে পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে ও প্রয়োজনীয় আদেশ বা নির্দেশনার জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর বিষয়টি কার্যতালিকায় আসবে।