fbpx

ইভ্যালির দেনা হাজার কোটি, পরিকল্পনা ছিল অন্য কিছু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবসার উদ্দেশ্য কী ছিল নতুন গ্রাহকেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুরানো গ্রাহকদের অল্প পণ্য ফেরত দেয়া। র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির দেনা এক হাজার কোটি টাকা। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত কোনো লাভ করতে না পারলেও গ্রাহকের টাকায় চালাচ্ছিল সব কার্যক্রম। তিন বছর হলে তাদের পরিকল্পনা ছিল শেয়ারবাজারে ঢোকার বলেও জানায় র‍্যাব।

ইভ্যালির দেনা হাজার কোটি, পরিকল্পনা ছিল অন্য কিছু

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল। ছবি: সংগৃহীত

১৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) র‍্যাব সদরদপ্তরে এক ব্রিফিং-এ সংবাদমাধ্যমে এসব কথা জানান র‍্যাব।

র‍্যাব মুখপাত্র জানান, ‘একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দেনা দাঁড়ায় ৪০৩ কোটি টাকা। তখন চলতি সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন পণ্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন গ্রাহক ও কোম্পানির কাছে বকেয়া প্রায় ১৯০ কোটি টাকা। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিপুল পরিমাণ দেনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল দম্পতি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি বলেও জানায় র‍্যাব।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকালে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারের পর  ইভ্যালির দুই কর্ণধারকে নেওয়া হয় র‍্যাব সদরদপ্তরে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে আরিফ বাকের নামে একজন ভুক্তভোগী ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অজ্ঞাত কর্মকর্তাদের নামে গুলশান থানায় মামলা করেন।

র‍্যাব জানায়, বিশাল অফার, ছাড়ের ছড়াছড়ি আর ক্যাশব্যাকের আকর্ষণ দিয়ে ক্রেতা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে ব্যবসায়িক বিক্রি বাড়াতে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত চাহিদা তৈরি হয় এ ধরনের পণ্যকে বেছে নেয় ইভ্যালি। যেমন- মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, এসি, মোটরবাইক, গাড়ি, গৃহস্থলীপণ্য, প্রসাধনী, প্যাকেজ ট্যুর, হোটেল বুকিং, জুয়েলারি, স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী ও ফার্নিচার ইত্যাদি। এসব পণ্যের মূল্য ছাড়ের ফলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানের বিশাল আকারে সায় (লায়াবেলিটিস) তৈরি হয়।

২০১৬ সালে প্রথমে অনলাইনে ডায়াপার বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাসেল। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে বড় একটি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করেন তিনি। সেই চিন্তা থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন দেশীয় ই-কমার্স কোম্পানি ‘ইভ্যালি’। প্রায় ১৭ লাখ নিয়মিত ক্রেতা, ২০ হাজারের বেশি বিক্রেতা নিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে স্বল্প সময়ে প্রথম সারিতে উঠে আসে ‘ইভ্যালি’।

Advertisement
Share.

Leave A Reply