ইরাকের রাজধানী বাগদাদে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়, এমন একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কমপক্ষে ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আগুন থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ায় আহত শতাধিক।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বাগদাদের দিয়ালা সেতুর কাছে ইবনে খতিব হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানায়।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে ইরাকের সিভিল ডিফেন্স।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। তখন অনেকেই ওই ভবন ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনার দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাদহিমি। তিনি এ দুর্ঘটনাকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং হাসপাতালের ১২০ জন রোগীর মধ্যে ৯০ জনকেই বের করে নেওয়া হয়েছে।’
দেশটির সিভিল ডিফেন্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাদহিম বোহান তাদের সরকারি গণমাধ্যমকে জানান, হাসপাতালের পালমোনারি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের ফ্লোরে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। সে সময় হাসপাতালটির আইসিইউ’তে ৩০ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে আহত রোগীদের এবং হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইরাক সরকারের মানবাধিকার কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, করোনা রোগীদের সাথে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা একধরনের অপরাধ। কারো অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকলে তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান বাগদাদের গভর্নর মোহাম্মেদ জাবের।
দীর্ঘ দিনের অবরোধ, যুদ্ধ আর অবহেলার কারণে ইরাকের রুগ্ন স্বাস্থ্যসেবা খাত চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে যথেষ্ট চাপে রয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে ১০ লাখ ২৫ হাজার ২৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং এতে মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ২১৭ জনের।
মার্চ মাসে ইরাকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আর এ পর্যন্ত সেখানে ৬ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।