আট দিনের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সমর্থন করার পক্ষে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে ফোনে কথা বলেন জো বাইডেন। এসময় বাইডেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তাঁর সমর্থনের কথা প্রকাশ করেন। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বাইডেন-নেতানিয়াহুর মধ্যকার ফোনালাপ সম্পর্কে জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র মিশরসহ অন্যান্য অংশীদার দেশের সাথে কাজ করছে।
তবে, বাইডেন এখন তাঁর সমর্থন যুদ্ধবিরতির পক্ষে দিলেও ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত বন্ধে গত রবিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান সংবলিত বিবৃতি আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে রবিবারের নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠক থেকে কোনো ফল আসেনি।
এদিকে, দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত। যা বন্ধের কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় ৬১ জন শিশুসহ অন্তত ২১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর ইসরায়েলি পক্ষ থেকে দুই শিশুসহ ১০ জন নিহত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, গাজায় নিহতদের বেশিরভাগই জঙ্গি এবং যে কোনো বেসামরিক মৃত্যুর ঘটনা অনিচ্ছাকৃত।
এই সহিংসতার ঘটনায় বিশ্বের নেতৃবৃন্দ ও মানবিক সংস্থাগুলো ভবন এবং অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে এতো মানুষের মৃত্যু ও বিশৃঙ্খলা রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এবারের এই সহিংসতাকে বলা হচ্ছে ২০১৪ সালের সংঘাতের পর সবচেয়ে বড় সংঘাত। ২০১৪ সালের ওই সংঘাতে নিহত হন ২ হাজার ২৫১ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের পক্ষে মৃত্যু হয়েছিল ৭৪ জনের, যাদের অধিকাংশই ছিলেন সেনাসদস্য।