fbpx

ই-অরেঞ্জ, আলেশা মার্টসহ ৯ প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ই-কমার্স খাতে গ্রাহকদের একের পর এক অভিযোগের পর এবার নয়টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য এবং আর্থিক তথ্য জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়।

যে নয়টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, কিউকুম, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডট কম ডট বিডি এবং আলেশা মার্ট। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই ৯ ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে মার্চেন্টদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা, ক্রেতা ও মার্চেন্টদের কাছে মোট দায়ের পরিমাণ জানা দরকার।  প্রতিষ্ঠানগুলোর চলতি ও স্থায়ী মূলধনের পরিমাণও জানা দরকার। আরও জানা দরকার প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো অর্থ কোথাও সরিয়েছে কি না তাও জানতে চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এই তথ্য জানানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে ইভ্যালির ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে।  সেখানে দেখা যায়, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির দেনা ৪০৩ কোটি টাকা, আর কোম্পানিটির চলতি সম্পদ ৬৫ কোটি টাকা।

এদিকে অগ্রিম টাকা নিয়েও পণ্য বা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা দায়ের করে তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক।

এরপর ই- অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আমানউল্লাহ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply