গত দুই বছর ধরে ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য বিরাজ করছে। এই দায়ভার ই-ক্যাব এড়াতে পারে বলেও মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
সেখানে বলা হয়, সম্প্রতি ইভ্যালি, অরেঞ্জ, ধামাকা, আলিশা মাট সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করার সংবাদ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। গ্রাহকরাও এ সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজপথে পর্যন্ত নেমে এসেছে। ইনফ্লুয়েন্সা মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়িতেও গ্রাহকরা এসে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে। বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতের নৈরাজ্যের দায় এ সকল প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ই-ক্যাব এড়াতে পারে না বলে আমরা মনে করি।
বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে ই-কমার্স খাতে বাৎসরিক লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। এফ কমার্সে ২০২০ সালে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩২০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ এ বিপুল সম্ভাবনাময় এক খাতে নেতৃত্বে যারা আছেন তারা শুধুমাত্র মন্ত্রণালয়ে তদবির বাজিতে ব্যস্ত থাকেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি ই-কমার্স ইতিমধ্যে সরকারের কাছে প্রায় ৯শত কোটি টাকা সহায়তা নিয়েছে। এ সংগঠনের সদস্য হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাঁদা দিতে হয়। তাছাড়া নিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দেখেই তারা সদস্য মনোনীত করেন। কিন্তু এমএলএম কোম্পানি গুলোকে কিভাবে তারা সদস্য হিসেবে নিল এবং তাদের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন চালু রাখলো, সেটি প্রশ্নের বিষয়। এর সাথে জড়িত ব্যক্তিরা কোন ভাবেই দায়মুক্তি পেতে পারে না বলে আমরা মনে করি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ সময় ই-কমার্সের নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড এবং দায়দায়িত্ব কতটুকু ছিল তা জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এবং গ্রাহকদের প্রাপ্য দাবি সমূহ প্রয়োজনে নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে পরিশোধ করারও জোর দাবি জানানো হয়।
একইসঙ্গে রাজপথে যারা ই-কমার্স খাতের ভুক্তভোগীরা আন্দোলন করছে, তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।