fbpx

ই-বর্জ্য থেকে সোনা!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আবর্জনার স্তুপে সোনা আছে! শুনলেই চমক লাগে তো? সম্প্রতি কানাডার এক দল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন। তারা বলছেন ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য হতে পারে সোনার খনির মতই মূল্যবান।

কানাডার স্যাসক্যাচওয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্টিফেন ফলি বলেন, ‘আমরা সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব একটি পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছি, যাতে পুরোনো মোবাইল থেকে সোনা আহরণের পাশাপাশি পণ্য পুনর্ব্যবহার উপযোগী করা যাবে। এটি সোনা শিল্পে বিপ্লব আনতে পারবে।‘

তিনি জানান, সোনা হল এমন একটি রাসায়নিক পদার্থ যা সবথেকে কম মিশে যায়। এই ধাতু আহরণের জন্য প্রচলিত যে পদ্ধতি আছে , তাতে পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়ে। কারণ এতে সোডিয়াম সায়ানাইড ব্যবহৃত হয়।

তবে ইলেকট্রনিক চিপ, সার্কিট প্রভৃতি থেকে সোনা আহরণ করতে গেলে প্রচুর খরচ হয়। সেই সাথে পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়ে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা একটি সহজ পন্থা বের করেছেন বলে দাবি করছেন। বলছেন, বিশ্বে ৫০ মিলিয়ন টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য বেরোয় প্রতি বছর। এর ৮০ শতাংশ গর্ত ভরাটে ব্যবহৃত হচ্ছে।

গবেষকদের দাবি , অ্যাসিটিক অ্যাসিডের সাথে একটি অক্সিডেন্ট ও আরেকটি অ্যাসিড মিলিয়ে কার্যকরভাবে সোনা গলানো যায়। মাত্র ১০ সেকেন্ডে সার্কিট থেকে সোনা আলাদা করা গেলেও অন্যান্য ধাতু গলে না। এই পদ্ধতিতে প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড থেকে এক কেজি সোনা আহরণে পাঁচ হাজার লিটার অ্যাকুয়া রেজিয়া (নাইট্রিক ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের মিশ্রণ) দরকার হয়। এ দ্রবণ যদি নতুন হয়, তবে এক কেজি সোনা বের করতে একশ লিটার দ্রবণ লাগবে, যা পরে আবার ব্যবহার করা যায়। এ পদ্ধতিতে খরচও প্রচলিত পদ্ধতির থেকে কম হবে।

গবেষকেরা ই-বর্জ্য থেকে সোনা আহরণের পদ্ধতিটি আরও বড় পরিসরে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply