fbpx

ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ না করার দাবি চালকদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এবারের ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। আর এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ মোটরসাইকেল চালকেরা।

৫ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ নিষয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাইকাররা। মানবন্ধনে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার দাবি জানান তারা।

চালকেরা বলেন, প্রশাসন দুর্ঘটনা রোধের জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা যৌক্তিক। কিন্তু সড়কে অদক্ষ ও অবৈধ লাইসেন্সধারী চালকদের মাধ্যমে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। তাই এসব চালককে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তবে যাদের কাছে বৈধ লাইসেন্স রয়েছে, তাদের মোটরসাইকেল চালাতে দেওয়া উচিত। কারণ, মোটরসাইকেল চালাতে না দিলে তাদের ঈদযাত্রা ভোগান্তিতে পরিণত হবে বলেও মনে করেন তারা।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন মোটরসাইকেল–সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সদস্যরা।

এছাড়া ঈদ ঘিরে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর বিধিনিষেধ অপসারণের দাবি জানিয়ে গত রবিবার ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন মোটরসাইকেল চালকেরা।

অন্যদিকে ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ না করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। আজ একটি বিবৃতিতে এই দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

গত ঈদুল ফিতরে প্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় নামার কারণে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা লক্ষ্য করা গেলেও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাই আপাতত গণপরিবহন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ না করে এই বাহনটির গতি নির্ধারণ করে দেওয়া, লাগেজ নিয়ে না যাওয়া, পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে চলতে না দেওয়ার পাশাপাশি এই বাহনটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে চলাচলের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে ৩৭ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। গণপরিবহন সংকট, বাস মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা,পদে পদে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, রেলের টিকিট অব্যবস্থাপনা, শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ নানা কারণে ক্রমেই মানুষ মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহনটি কখনোই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না। তবুও পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের আদলে গণপরিবহনের সংখ্যা কমানোর মধ্য দিয়ে যানজট কমাতে দেশে রাইডশেয়ারিং চালু করা হলেও বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা ও মনিটরিংয়ের অভাবে এসব রাইডশেয়ারকারী যানবাহন যানজট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এ অবস্থায় দেশের সড়কের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই বাহনটির নিবন্ধন বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তার আগে গণপরিবহন সংকট সমাধান করা, যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন, যাত্রী হয়রানী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply