fbpx

উচ্চশিক্ষায় দেশে ঢাবি প্রথম, বিশ্বে ১৬৩৪ তম

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবম্যাট্রিক্স সম্প্রতি উচ্চশিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিং প্রকাশ করেছে। বিশ্বের দুই শতাধিকেরও বেশি দেশের ৩১ হাজার উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে ‘ওয়েবমেট্রিক্স’ জরিপের ১৮তম সংস্করণ প্রকাশ করে।

সেখানে দেখা গেছে, র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

তালিকায় দেখা গেছে, এখানে বাংলাদেশের ১৭৩টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে। দেশে অবস্থান শীর্ষে হলেও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। এই তালিকায় ঢাবির অবস্থান ১৬৩৪তম। আর বুয়েটের অবস্থান ১৭০২।

উচ্চশিক্ষায় দেশে ঢাবি প্রথম, বিশ্বে ১৬৩৪ তম

ওয়েবম্যাট্রিক্সের তালিকা। ছবি : সংগৃহীত

এছাড়া দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রযেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), চতুর্থ স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ স্থানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, সপ্তম স্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, অষ্টম স্থানে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, নবম স্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও দশম স্থানে রয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।

তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেহাল দশা হলেও পড়াশোনার মান, গবেষণাসহ নানা মানদণ্ডে চমক দেখিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৩তম।

বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২৬তম। আর বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে এর অবস্থান ৫৯২৫তম।

এই র‍্যাংকিয়ে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় প্রথম ১০টির মধ্যে আটটি যুক্তরাষ্ট্রের। বিশ্বের সেরা বিদ্যাপীঠগুলো হচ্ছে- ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান দিয়েগো ও টরেন্টো ইউনিভার্সিটি।

ওয়েবম্যাট্রিক্সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের তথ্যের পাশাপাশি তাদের গবেষক এবং প্রবন্ধ বিবেচনায় নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের তথ্য ৫০ শতাংশ, টপ সাইটেড গবেষকদের ১০ শতাংশ এবং টপ সাইটেড প্রবন্ধ ৪০ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে এই র‍্যাংকিং তৈরি করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটি ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে তারা এই তালিকা প্রকাশ করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply