বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার জন্মস্থান সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী শাহ্ আবদুল করিম লোক উৎসব-২০২৩।
সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাউলদের মিলনমেলায় পরিণত হয় উৎসব প্রাঙ্গণ। কালোত্তীর্ণ লোক গানের স্রষ্ঠা বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমকে গানে গানে, শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন তার ভক্ত-অনুসারীরা। প্রাণের টানে, গানের টানে সারাদেশ থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য শ্রোতা। লোক গানের পাশাপাশি একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অমর শিল্পীকে নিয়ে ছিলো স্মৃতিচারণও।
শাহ্ আবদুল করিম পরিষদের আয়োজনে, বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় সমবেত গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী এই লোক উৎসব। শাহ্ আবদুল করিমের একমাত্র ছেলে উৎসব আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক শাহ্ নূর জালালের সভাপতিত্বে বাউল সম্রাটের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন।
লোক উৎসব উপলক্ষ্যে আবদুল করিম স্মৃতি সংগ্রহশালার সামনে ও গ্রামের মাঠে মেলা বসে। উল্লেখ্য ২০০৬ সাল থেকে ধল গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে আসছে শাহ্ আবদুল করিম লোক উৎসব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শাহ্ আবদুল করিম সাধারণের জন্য গান গাইতেন। তাঁর গানে ফুটে উঠেছে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা, আছে শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের অধিকারের কথা, আছে প্রেম, বিরহের অনন্য উপ্যাখানও। তাঁর গানে রয়েছে নিজেকে জানার কথা ও মানুষের জন্য জীবনমুখী দিকনির্দেশনা।
