fbpx

উদ্যোক্তারাই প্রতিটি দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড : পলক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

উদ্যোক্তারাই যেকোনো দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ও মূল চালিকাশক্তি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল প্রতিটি দেশের স্টার্টআপরাই অর্থনীতিকে পরিচালনা ও সমৃদ্ধ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২২ জুন) প্রতিমন্ত্রী বিইয়া’র লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘উদ্যোক্তার পাঠশালা’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থী না হয়ে চাকরি দাতা হওয়ার জন্য তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে হবে। প্রতিবছর ২০-২৫ লক্ষ তরুণ,তরুণী কর্মজীবনে প্রবেশের উপযোগী হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের পক্ষে চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নিজেরা চাকরিপ্রার্থীর না হয়ে উদ্যোক্তা হয়ে যেন চাকরিদাতায় রূপান্তরিত হতে পারে সে লক্ষ্যে মাধ্যমিক পর্যায় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী পর্যন্ত আইসিটি বিষয়কে বাধ্যতামূলক করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি সেবাকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিতে ই-গভারমেন্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এছাড়া প্রান্ত থেকে কেন্দ্র (বটম আপ অ্যাপ্রচ) পদ্ধতিতে সেবা প্রদান শুরু করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ২০১০ সালে ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চর কুকরি-মুকরিতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) উদ্বোধন করা হয়।’

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল সার্ভিস জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে ১৩ হাজারের বেশি নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করছে। তাদের মাধ্যমে স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে, দুর্নীতি মুক্ত উপায় প্রতি মাসে ৬০ লক্ষ মানুষ কম্পিউটার ও ইন্টারনেট নির্ভর সকল সেবা পাচ্ছে।

ইন্টারনেটকে জীবিকার মূল উপাদান উল্লেখ করে পলক আরও বলেন সকলের জন্য স্বল্প মূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ফলে জনগণ শিক্ষা-স্বাস্থ্য,বাণিজ্য, বিনোদনসহ পৃথিবীর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা হাতের মুঠোয় পাচ্ছেন। দেশের সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার গ্রামে বসেই ব্যবসা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারছে। ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে বছরে ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্যোগে সংস্কৃতি গড়ে তুলতে শুধু অর্থায়ন ও বিনিয়োগই যথাযথ নয়। এক্ষেত্রে তাদের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পুরো ট্রেনিং, ফান্ডিং, মেন্টরিং ও কোচিং এর মাধ্যমে পুরো ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে সম্পৃক্ত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে তারা ভবিষ্যতে আরও সফলতা লাভ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিইয়া’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন এবং বোর্ডের সদস্য আবদুল মুইদ চৌধুরী, প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক আশফাহ হক, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ মোঃ মফিজুর রহমান, যুব বিজনেস ইন্টারন্যাশনাল এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনিতা টাইসেন।

সবশেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আনুষ্ঠানিকভাবে ‘উদ্যোক্তার পাঠশালা’ উদ্বোধন করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply